বনধে স্কুল খোলা প্রসঙ্গ
উল্লেখ্য, এদিনের ১২ ঘণ্টার বনধের মাঝে আজ রাজ্যে স্কুল খুলবে কী না এ নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে থাকে। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্কুল খুলছেই। তিনি বলেন, 'যাঁরা বনধ ডেকেছেন তাঁরা ঠিক করবেন কী করবেন। ' তিনি সাফ জানান, রাজ্য়সরকার নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না।
বনধে কংগ্রেস ,আব্বাসদের সমর্থন
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভা ভোটে এবার বাম, কংগ্রেস একই জোটে। সেই জায়গা থেকে বামেদের ১২ ঘণ্টা বনধকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি রয়েছেন বামেদের এই বনধের সমর্থনে। আব্বাসের এই সমর্থনই রাজ্যরাজনীতিতে নতুন একি সমীকরণ তৈরি করছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। যেখানে মিমকে সঙ্গে নিয়ে বাম, কংগ্রেসের সঙ্গে কৌশলগত জোটের পথে আব্বাস যেতে চান, সেই জায়গা থেকে আব্বাসের এই বামেদের প্রতি সমর্থন বার্তা বাংলার রাজনীতিতে তাৎপর্য রাখছে।
বামেদের বনধ ও কলকাতার ছবি
প্রসঙ্গত, বামেদের বনধ ঘিরে কলকাতার রাস্তায় সকালের দিকে সেভাবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা দেখা যায়নি। হাজরা মোড়ে সকাল থেকেই পুলিশ। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে এদিন রয়েছে গোটা কলকাতা।
বনধ পরিস্থিতি ও নবান্নর কড়া হুঁশিয়ারি!
সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, গোটা রাজ্যের মধ্যে কলকাতাতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বাস স্ট্যান্ডের সামনে লম্বা লাইন। তবে যাদবপুরে বামেদের মিছিলের ছবি যেমন দেখা গিয়েছে এদিন, তেমনই লেকটাউনে যশোর রোধ অবরোধের ছবিও দেখা গিয়েছে। এদিকে, নবান্ন সাফ জানিয়েছে যে, এদিন যদি রাজ্যসরকারী কর্মীরা অফিসে হাজিরা না দেন তাহলে তাঁদের চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে। ফলে প্রতিবারের মতোই বনধ অসফল করতে তৎপর তৃণমূল সরকার।