নয়াদিল্লি : গর্বের দিন। রবিবার দেশবাসীকে অর্জুন ট্যাংক উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের গর্বের অর্জুন ট্যাংক ডিআরডিও-র হাতে তৈরি। গত বছরই এরকম ১৮টি ট্যাংক বানানোর জন্য চেন্নাইয়ের কমব্যাট ভেহিকলস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এসট্যাবলিশমেন্ট বা সিভিআরডিইকে বরাত দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অর্জুন মার্ক ১ এ হাতে রয়েছে সেনার।

অর্জুন মার্ক ১ এ ট্যাংকই দেশবাসীকে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ১১৮টি অর্জুন ট্যাংকের নিয়োগে সম্মতি দিয়েছে। এজন্য খরচ হবে ৮৪০০ কোটি টাকা। স্থলপথে যুদ্ধে সেনা বাহিনীর শক্তি আরও বাড়াবে অর্জুন ট্যাংকের অত্যাধুনিক ভার্সন।

যে কোনও আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে অর্জুন মার্ক ১ এ ট্যাংক। এর ওজন ৬৮ কেজি। ট্যাংকটিতে রয়েছে ১২০ মিলিমিটার রাইফেলড গান। রয়েছে পিকেটি ৭.৬২ মিমি ককশিয়াল মেশিন গান। রয়েছে এনএসভিটি ১২.৭ মেশিন গান। অর্জুন মার্ক ১ এ ট্যাংকে লাগানো রয়েছে এক্সপ্লোসিভ রিঅ্যাক্টিভ আর্মার। কোনও বিস্ফোরক যদি অর্জুন মার্ক ১ এ ট্যাংককে উড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা করে, তবে তা প্রতিহত করতে সক্ষম এই ট্যাংক।

নিখুঁত ভাবে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাতে পারে অর্জুন মার্ক ১ এ ট্যাংক। অটোমেটিক ফায়ার ডিটেকশন পদ্ধতিতে কাজ চালায় অর্জুন ট্যাংক। এই অর্জুন মার্ক ১ এ ট্যাংককেই দেশবাসীর জন্য উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেনা বাহিনীর পরিভাষায় ভারতের মেন ব্যাটল ট্যাংক হল অর্জুন। এই ট্যাংকের থেকে অ্যান্টি গাইডেড মিসাইল পরীক্ষা সফল হয়েছে। এরপরেই এটি লাদাখ সীমান্তে পরীক্ষামূলক ভাবে পাঠানো হবে।

অর্জুন ট্যাংকের ১২০ মিলিমিটার রাইফেল গান থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছে অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইলের। এবার রেঞ্জ বাড়ানো হচ্ছে। ১২৫ মিলিমিটার স্মুথবোর গান ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্জুনের আগের মডেল থেকে নয়া মডেলে ৮৯ টি নতুন বৈশিষ্ট্য থাকছে। থাকবে নাইট ভিসন, ডিজিটাল কন্ট্রোল, উন্নত যোগাযোগের ক্ষমতা, নেভিগেশন সহ একাধিক বৈশিষ্ট্য। রাতেও লক্ষ্যে আঘাত করা যাবে এই ট্যাংক থেকে। শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টারের উপর হামলা চালাতে থাকবে উন্নততর এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। উন্নতমানের গান ব্যারেল থাকবে। এই ট্যাংক আগামিদিনে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।