গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই ক্রমেই উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে বিহারে। এমনকী পরিযায়ী সঙ্কটের মাঝেই আক্রান্তের সংখ্যাতেও জোয়ার দেখা যায় নীতীশের রাজ্যে। যদিও সেই সময়েই বিধানসভা ভোট পর্বও সারা হয় বিহারে। এদিকে করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন, আক্রান্তের সংখ্যায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে বিহার, বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের বিরুদ্ধে। এবার সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তেই সামনে এল আরও বড়সড় তথ্যপ্রমাণ।
ওই তদন্তেই বিহারে কোভিড পরিসংখ্যানে বড়সড় জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে সরকারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সূত্রের খবর, বড়সড় দুর্নীতি হয়ে করোনা টেস্টিংয়েও। এমনকী অনেক ক্ষেত্রেই আসল সংখ্যার থেকে বাড়িয়ে দেখানো হয়ে করোনা টেস্টিংয়ের সংখ্যা। এমনকী অনেক কলাম টেস্টিং তথ্যে খালি রাখা হয়েছে। এমনকী বেশ কিছু করোনা টেস্টের রোগীদের মোবাইল নম্বরের জায়গায় ১০টি শূন্য লেখা রয়েছে।
পাশাপাশি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তেই দেখা যাচ্ছে করোনা টেস্টিংয়ে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের নাম এবং মোবাইল নম্বরের সঙ্গে ব্যক্তির পরিচিতি মিলছে না। এছাড়াও উঠে এসেছে আরও একগুচ্ছ অভিযোগ। সূত্রের খবর, এই সংবাদ সংস্থার আধিকারিকেরা বিহারের জামুই, শেখপুরা এবং পাটনাতে ছয়টি করোনা টেস্টিং কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। ১৬, ১৮ এবং ২৫ জানুয়ারীর মধ্যে যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তা খতিয়েও দেখা হয়। আর তথনই সামনে আসে বড়সড় গোলযোগের কথা। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে করোনা প্রতিরোধে বিহারের নীতীশ সরকারের ভূমিকা। এমনকী গোটা ঘটনার আসল সত্য জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তেরও দাবি করেছে আরজেডি।