বনধ সফল করতে পথে ছাত্র-যুবরা
এদিন সকাল থেকেই বনধকে সফল করতে পথে নামেন ছাত্র ও যুবরা। ট্রেন অবরোধে সামিল হতে দেখা যায় বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীকেও। কোনও কোনও জায়গায় বাম ছাত্র-যুবরা শক্তি প্রদর্শন করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন এসএফআই সমর্থকরা। তবে বলতে গেলে এই বনধে মিশ্র সাড়া পড়েছে।
ক্ষমাপ্রার্থী সেলিম
এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিএম নেতা মহঃ সেলিম বলেন, সাধারণ মানুষ বনধে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়়া দিয়েছেন। তবে সারাদিনই অনেক মানুষের অসুবিধা হয়েছে, নাজেহার হতে হয়েছে অনেককেই। তাঁর জন্য বামেদের তরফ থেকে তিনি দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষমা প্রার্থনাও করেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি
এদিন বনধের শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাম-ছাত্রযুবরা। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে প্ররোচনার তথ্য দিয়ে মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশনে অভিযোগ করার পাশাপাশি পাশাপাশি আদালতে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাম-ছাত্রযুবরা। বাম ছাত্র-যুবরা ভিন্ন সময়ে রাজ্যপালের পুলিশের সমালোচনার কথা তুলে ধরে এই ঘটনার পরে রাজ্যপাল নীরব কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ।
সরব বুদ্ধিজীবীদের একাংশ
ছাত্র-যুবদের আন্দোলনে পুলিশের হামলার নিন্দা করেছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, জীবন জীবিকার দাবীতে আন্দোলনরত ছাত্র,ছাত্রী, যুবক, যুবতীদের ওপর যে নৃশংস আক্রমণ নামিয়ে এনেছে স্বৈরতান্ত্রিক তৃণমূল সরকার, তাকে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছেন তাঁরা। এরা বিজেপি নামক ফ্যাসিস্টদের দোসর এবং সহযোগী শক্তি বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে। এই বিবৃতি যাঁরা পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করেছেন, তাঁরা হলেন, তরুণ মজুমদার , পবিত্র সরকার, বুদ্ধদেব দাসগুপ্ত, ওয়াসিম কাপুর, চন্দন সেন (নাট্যকার), মাসুদ আখতার , সব্যসাচী চক্রবর্তী , অনীক দত্ত , কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় , অসিত বসু, ভদ্রা বসু, বিমল চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্র, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় , সীমা মুখোপাধ্যায় , ডঃ অম্বিকেশ মহাপাত্র , সুপ্রিয় দত্ত , মানসী সিনহা , ডঃ তপনজ্যোতি দাস, অধ্যাপক কুন্তল মুখোপাধ্যায় , মিশকা হালিম, অনির্বাণ মাইতি, অসীম বোস , বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, চন্দন সেন (অভিনেতা), তূর্ণা দাস, জয়রাজ ভট্টাচার্য , সৌরভ পালোধী , শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, তৌফিক রিয়াজ, অনিন্দিতা সর্বাধিকারী , মনীষা আদক , দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য (জ্যাক), সারণ দত্ত-সহ অন্যরা।