কলকাতা: ২০১৫ সালে সারি রাত (Saari Raat) এবং ২০১৭ সালে সোনাটা (Sonata) এই দুই ছবির পরে আবার হিন্দিতে ছবি পরিচালনা করছেন অপর্ণা সেন। মূল চরিত্রে থাকছেন পরিচালকের অভিনেত্রী-পরিচালিকা কন্যা কঙ্কনা সেন শর্মা (Konkona Sen Sharma) , অর্জুন রামপাল (Arjun Rampal) ও তন্ময় ধনানিয়াকে (Tanmay Dhanania)।
ছবির নাম দ্য রেপিস্ট (The Rapist)।
এ সমাজ এমনই যে কোনো নারী ধর্ষণ হওয়ার পর তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জায়গায় তাঁর পোষাক, ব্যক্তিগত যাপন, সে কেন কোন সময়ে বেড়িয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয় বেশি। ধর্ষকের নয় জেল হলো কিন্তু কী হলো সেই ধর্ষিতার। তাঁর জীবন কতটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে তা জানে সেই। অনেক সময় তো ‘বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে’ কারণ ক্ষমতার দাপটে প্রমান লোপাট তা কি আর নতুন কিছু ! সমাজ যখন তাঁকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দোষী সাব্যস্ত করে তখন সেই মেয়েটি ভয় পেয়ে আসল দোষীর নাম নিতে ভয় পায়।
এই ছবির পরতে পরতে ফুটে উঠবে,কী ভাবে কোনও দোষ না করেও একজন ধর্ষিতা গভীর মানসিক অবসাদ, লাঞ্ছনার মধ্যে দিয়ে যায়। এক ধর্ষিতা নারীর গ্লানি এবং বিচার পাওয়ার কাহিনি ‘দ্য রেপিস্ট’ ৷ ছবিটি হিন্দিতে করছেন অপর্ণা সেন তার কারণ সম্ভবত হিন্দি ভাষা হলে আরও বেশি করে দর্শকদের কাছে পৌঁছনো যাবে ছবির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মার্চ থেকে ছবির শুটিং শুরু হবে। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে অ্যাপ্লজ এন্টারটেনমেন্ট ও কোয়েস্ট ফিল্ম ।
অন্যদিকে ‘ই আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’ (A Death In The Gunj) ছবি দিয়ে পরিচালনার জগতে পা রেখেছেন কঙ্কনা সেন শর্মা।
বহু সম্মানে ভূষিতা অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন এর এ যাবৎ শেষ ছবি ‘ঘরে বাইরে আজ’ ছুঁয়েছিল সবার মন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সে ছবি ছিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। স্বাভাবিক ভাবেই এ ছবি নিয়েও চূড়ান্ত আশাবাদী সিনে মহল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.