স্টাফ রিপোর্টার: “কার নির্দেশে ছাত্র-যুবদের ওপর পুলিশ লাঠি চালিয়েছে? এর হিসেবে নেওয়া হবে।এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।” শুক্রবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই মন্তব্য করলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “কাজের দাবিতে, শিক্ষার ছাত্র-যুবরা আন্দোলন করলো, আর তাদের ওপর পুলিশ অত্যাচার করল। একটা অসৎ সরকারের অসৎ পুলিশ।”

সেলিম এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের সব প্রতিশ্রুতিকে মিথ্যা বলে মন্তব্য করে বলেন, “বিভিন্ন চাকরির নাম রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সব মিথ্যা প্রমাণিত। তাই শিক্ষিত ছাত্র-যুব সমাজ আন্দোলনে নেমেছে।” রাজ্যের সমস্ত জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের নেতারা রাস্তায় হাটতে পারবে না পুলিশ তাদের পাশে না থাকলে । অথচ পুলিশ সব তরুণদের লাঠি দিয়ে পেটাল, রক্তাক্ত করল।”

সেলিম এদিন বলেন, “কি ভাবে পুলিশ মিছিল, মিটিং, ভিড় সামলাবে সেটার একটা আইন আছে, নিয়ম আছে, তার জন্য প্রশিক্ষণ হয় । আইপিএসরা অশিক্ষিত সরকারের সঙ্গে কাজ করে অশিক্ষিত হয়ে গেছে । ছাত্ররা ময়দান চেয়েছিল। সেটা না দিয়ে একটা বদ্ধ জায়গায় ছাত্রীদের ঢুকিয়ে পুলিশ পেটালো। এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। কার নির্দেশে পুলিশ মারলো? যত রক্ত ঝরেছে তার হিসেবে নেবো।”

সেলিম এদিন আরও বলেন, “আজ ধর্মঘটের দিন মিছিল করার প্রস্তুতির জন্য আবার ছাত্র-যুবদের পুলিশ গ্রেফতার করলো। কেন করবে? রাজ্যে কী ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে? পুলিশ কাল ছাত্রদের ওপর লাঠি চালালো। আমি পুলিশকে বলবো তাদের বাড়িতেও তো ছেলে মেয়ে আছে। সবাই তৃণমূলের চাটুকারী করতে পারবে না। আজ যারা সিভিক পুলিশ হয়ে ছাত্রদের মারল তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতেই ছাত্ররা কাল রাস্তায় নেমেছিল।

আর কেউ যদি মনে করে থাকে বামপন্থীদের ওপর লাঠি চালিয়ে তাদের দমন করা যাবে তাহলে তারা ভুল করছে।” এদিন ধর্মঘটের নামে জোর-জুলুমের অভিযোগ প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, “ধর্মঘটীরা যদি কোথাও জোর জুলুম করে থাকে সেটা মমতা ব্যানার্জীর পুলিশের জন্য হয়েছে।কেন সকাল থেকে ধর্মঘটীদের গ্রেফতার করলো পুলিশ ? কাল পুলিশ ছাত্রদের মেরেছে। আজ আমাদের মিছিলে লাঠি চালাতো? দেখতাম।”

এদিন দীনেশ ত্রিবেদীর তৃণমূল দল ও রাজ্য সভা থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, “রাজ্য পুরোটাই দমবন্ধ অবস্থায় আছে। দীনেশ ত্রিবেদীর এতো দেরিতে অন্তরাত্মা জাগলো? তিনি যখন রেল মন্ত্রীছিলেন তখন রেলের কন্ট্রাক্টরদের টাকা কালীঘাটে আসত না ভাইপোর কাছে। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।তার পর সেখানে মুকুল রায়কে বসানো হলো। আর আজ এতো দেরিতে দীনেশ ত্রিবেদীর অন্তরাত্মা জাগলো?”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।