নয়াদিল্লি : ট্রেন যে এখনও সব চলছে তা নয়। এখনও অনেককেই ট্রেন পেতে গেলে বা দূরপাল্লার যাত্রা করতে হলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ট্রেন পেতে। এমনই সময় রেললন্ত্রী জানালেন কোনও ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেনি প্রায় ২২ মাস, যা নজিরবিহীন। ঘটনা হল রেল দুর্ঘটনা শুধু মাত্র ট্র্যাক থেকে রেল উলটে যাওয়াকেই এখানে তুলে ধরেছেন মন্ত্রী। কিন্তু কার বা মনে নেই কীভাবে রেলের ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। তাও সেই সময় হাতেগোনা কয়েকটি ট্রেন চলছিল জিনিসপত্র আমাদানি রফতানির জন্য।

পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন , ‘গত ২২ মাসে সারা দেশে রেল দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হয়নি। ২০১৯ সালের ২২ মার্চ শেষবার রেল দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবদীর এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যসভায় এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, গত ৬ বছরে আমরা সুরক্ষার জন্য আরও বেশি পরিমাণে মনোনিবেশ করেছি।

মন্ত্রীর এই বক্তব্যে সংসদে বিরোধী সাংসদরা বিরোধিতার ঝড় তোলেন। বিরোধীদের পাল্টা দাবি ছিল, মহামারীজনিত কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল, তাই দুর্ঘটনা ঘটেনি। এর জবাব দেন রেল মন্ত্রী। পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘কয়েকজন সদস্যের এ কথা মনে নেই যে ট্রেন ২০২০ সালের মার্চের আগে চলেছিল এবং পরে এপ্রিল থেকে পরিষেবা আবারও চালু করা হয়েছিল এবং এখন ৭০ শতাংশ পরিষেবা চালু রয়েছে। কিন্তু সভায় উপস্থিত কয়েকজন সদস্যের স্মৃতি খুবই কম।’

সামগ্রিক সুরক্ষা এবং বিশেষত ব্রিজ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রক আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কথা ভাবছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, “ভারতে ৩৪ হাজার ৬৬৫টি রেল ব্রিজ রয়েছে। যেগুলি ১০০ বছরেরও বেশি পুরানো। তবে মন্ত্রকের একটি শক্তিশালী পরিদর্শন ব্যবস্থা রয়েছে, যারা বর্ষার আগে ও পরে এগুলি পর্যবেক্ষণ করে। এই ব্রিজগুলি নিরীক্ষণের জন্য রেল ড্রোনের সাহায্য নিচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ড্রোন সেতুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সঠিক পদ্ধতি হবে না। টেনসিল চাপ পরীক্ষা করা ইত্যাদি সহ নানা বিষয় রয়েছে। তবে আমি সদস্যদের পরামর্শ স্বাগত জানাচ্ছি।”

গত বছর ৮ মে ঔরঙ্গাবাদে মালগাড়ির ধাক্কায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় শোহ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘এতগুলো প্রাণ একসঙ্গে শেষ হয়ে গেল। আমরা মর্মাহত। রেলমন্ত্রী গোটা বিষয়টির ওপর নজর রেখেছেন। প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম বিষয়ে সাহায্য করা হবে।’ ৮ মে ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঔরঙ্গাবাদের অদূরে কর্মাদ এলাকায় এক মালগাড়ির ধাক্কায় ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ঔরঙ্গাবাদ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই শ্রমিকরা জানলায় একটি স্টিল প্ল্যান্টে কাজ করতেন। লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফিরতেই একসঙ্গে রেললাইন ধরে ৬৫ কিলোমিটার হেঁটেছিলেন। ভোররাতে ঔরঙ্গাবাদের কর্মাদ সংলগ্ন এলাকায় লাইনের ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৪ জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।