নয়াদিল্লি: আবারও করোনার দৈনিক সংক্রমণ গোটা দেশে ১০ হাজারের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩০৯ জন। একইসঙ্গে গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৮০ হাজার ৬০৩ জন। তবে এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯২৬। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৪৭।

নিউ নর্মাল দুনিয়ায় এখন সব কিছু স্বাভাবিক। খুলে গিয়েছে অফিস-আদালত। করোনাবিধি মেনে রাজ্যে-রাজ্যে খুলে যাচ্ছে স্কুলও। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিন ধরেই দেশের করোনার দৈনিক সংক্রমণও স্বস্তি দিচ্ছিল। একদিনে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশে করোনার টিকাকরণ অভিযান চলছে। তবে প্রথম পর্বের দেশের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে প্রত্যেককে টিকাকরণের আওতায় আনবে কেন্দ্র। মার্চ মাস থেকে পঞ্চাশোর্ধদের টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।

এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার নতুন করে দেশে করোনার সংক্রমণ বেশ খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়। বুধবার নতুন করে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১২,৯২৩ জন। তবে স্বস্তি ঠিক তার পরের দিনেই। বৃহস্পতিবার দেশে করোনা গ্রাফ ফের নিম্নুমখী। দৈনিক সংক্রমণ নেমে এসেছে ১০ হাজারের নীচে। নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের।

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৮০ হাজার ৬০৩ জন। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৪৭। ইতিমধ্যেই ভারতে করোনার দুটি ভ্যাকসিনের প্রয়োগ পুরোদমে শুরু হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি করছে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট।

অন্যদিকে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন কোভ্যাক্সিন। জরুরি ভিত্তিতে দেশে এই দুটি ভ্যাকসিনকেই ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রথম দফায় ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশের ৭৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে করোনার টিকাকরণের আওতায় আনা গিয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।