বেজিং: এবার চিনে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা বিবিসি ওয়ার্ল্ডের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হল। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন-এর তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে আমেরিকাতেও সিজিটিএন-এর সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। সেই ঘটনার ঠিক সাতদিনের মাথায় শুক্রবার ভোরে পাল্টা পদক্ষেপ চিনের। বিবিসি ওয়ার্ল্ডের সম্প্রচার চিনে পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চিনের অভিযোগ, জিনজিয়াং এবং চিনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পরপর কিছু মিথ্যা প্রতিবেদন সম্প্রচার করকেছে বিবিসি ওয়ার্ল্ড। আন্তর্জাতিক ওই সংবাদসংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেশের সম্মানহানি হচ্ছে বলেও অভিযোগ বেজিং-এর।
সেই কারণেই আপাতত গোটা চিনে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিনের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন-এর তরফে আৎও জানানো হয়েছে, শুধু ওই চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়াই নয়, আগামী এক বছরের জন্য চ্যানেলের লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ চ্যানেলটিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করেছে চিন। চিনের সরকারি সংবাদসংস্থার মতে, ‘বর্তমান বিশ্বে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নামে ওই ব্রিটিশ চ্যানেলের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই।’ উল্লেখ্য, চিনের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি ছাড়াও সেদেশের জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চিন প্রশাসনের আচরণ নিয়েও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিবিসি ওয়ার্ল্ড।
সেই প্রতিবেদনটির সম্প্রচার হওয়ার পর থেকে অস্বস্তি বাড়তে থাকে চিনা প্রশাসনের। বিবিসি ওয়ার্ল্ড বহির্বিশ্বের দেশগুলির কাছে চিনকে হেয় করার চক্রান্ত করছে বলে দাবি চিনা প্রশাসনের। সেই কারণেই সেদেশে আপাতত ব্রিটিশ ওই সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের সম্প্রচার বন্ধ করা নিয়ে একটি ববৃতিত জারি করে চিনা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজে চিন সম্পর্কে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তার সত্য ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত। তবে সব নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে ওই সংবাদমাধ্যমটি। দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনের জেরে।’
দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই আপাতত এক বছরের জন্য ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসি ওয়ার্ল্ডের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে চিনা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.