নয়াদিল্লি : ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া আক্রমণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। শুক্রবার লাদাখ ইস্যু তুলে মোদীকে একহাত নেন তিনি। রাহুল গান্ধী বলেন ভারতের মাটিকে চিনের কাছে সমর্পণ করেছেন মোদী। দেশের সেনাদের বীরত্বকে অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী একজন ভীতু মানুষ। তিনি চিনের মোকাবিলা করতে ভয় পান।

এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন দেশের সেনাদের যেভাবে অপমান করেছেন মোদী, তা তার এক্তিয়ারের বাইরে। সেনার বীরত্ব ও গৌরবকে অসম্মান করার কোনও অধিকার মোদীর নেই। অথচ ঠিক সেই কাজটাই করে চলেছেন তিনি। দেশের মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকেও আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে লাদাখের প্যাংগং লেকের দুধার থেকে সেনা সরানোর কথা বলেছেন রাজনাথ সিং। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডেপসাংয়ের কথা উল্লেখ করেননি তিনি।

রাহুলের দাবি ওই ডেপসাং এলাকাতেই চিনা সেনা অনধিকার প্রবেশ ঘটিয়েছে। অথচ সেই এলাকার কথাই উল্লেখ করেননি রাজনাথ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তা করেননি তিনি। কারণ তাতে মোদী সরকারের ব্যর্থতা সামনে চলে আসবে। এদিন রাহুল বলেন ভারতীয় ভূখন্ডকে চিনের কাছে দিয়ে দিয়েছেন মোদী। দেশকে এর জন্য জবাব দিতে হবে তাঁকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন এখন থেকে ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার ৩তে থাকবে। কিন্তু ফিঙ্গার ৪ ভারতীয় ভূখন্ডের মধ্যে পড়ে। তাহলে সেই এলাকার কী হল।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন “আমি হাউজকে আজ বলতে পেরে খুশি যে চিনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। এখন আমরা প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা সরানো নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।” রাজনাথ আরও জানিয়েছেন, দুই দেশের শীর্ষ কম্যান্ডারদের মধ্য়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে আবার বৈঠক হবে। তবে তার আগে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কীভাবে এই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল সে কথাও জানিয়েছেন রাজনাথ।

তিনি বলেছেন, প্যানগং হ্রদের পাশ থেকে সেনা সরানো নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। উভয় পক্ষই সম্মতি দিয়েছে যে তারা তাদের অগ্রসর হওয়া বন্ধ করবে। চিন ফিঙ্গার ৮-এর পূর্ব দিকে উত্তর তীরে অঞ্চলে তাদের সেনা মোতায়েন রাখবে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার ৩-এর কাছে ধন সিংহ থাপ পোস্টে তাদের স্থায়ী ঘাঁটি করবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।