স্টাফ রিপোর্টার, বনগাঁ : একুশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই জোরদার হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গোষ্ঠী কোন্দল। এবার ভোটের মুখে ফের প্রকাশ্যে চলে এল দলীয় সাংসদ ও বিধায়কের বিরোধ। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এবার বনগাঁয় প্রকাশ্যে চলে আসল বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। বিরোধ বাঁধল বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। বৃহস্পতিবার বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে দেখা যায়নি ঠাকুর নগরে অমিত শাহের মঞ্চে। বিশ্বজিৎ দাস ঠাকুর নগরে গেলেও অমিত শাহের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে অমিত শাহের মঞ্চে যেতে দেয়নি বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে , অমিত শাহের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছে যে তালিকা বিজেপির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল তাতে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নাম ছিল না। অমিত শাহের জনসভায় গিয়েও অপমানিত হতে হয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। এরপর বিশ্বজিৎ দাস শুক্রবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে দলীয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
তিনি বলেন, “শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের সামনে রেখে দলকে ব্লাক মেইল করছেন। মতুয়ারা জানতে চাইছে কবে নাগরিকত্ব আইন ফলপ্রসূ হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলে গিয়েছেন করোনা ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শেষ হবে, তারপর সি এ এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেক্ষেত্রে গোটা দেশে এই প্রক্রিয়া শেষ হতে ১০ বছর লেগে যেতে পারে। আমার মনে হয় যাদের ভোটাধিকার আছে তাঁদের নাগরিকত্বের দরকার নেই। তাঁরা সবাই নাগরিক। নাগরিক বলেই জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করার অধিকার পেয়েছেন। শান্তনু ঠাকুর যেটা করছেন সেটা দলকে ব্লাক মেইল করছে। আমি দলীয় নেতৃত্বকে সব জানাব ।”
এর পরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন শান্তনু ঠাকুর। বিধায়কের বক্তব্যের বিরোধীতা করে তিনি বলেন, “উনার ইঙ্গিত তো দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধেই। আমি তো সি এ এ আইন আনিনি । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর এনেছেন। মাননীয় গৃহমন্ত্রী নিজে গোটা বিষয়টি মতুয়া ভক্তদের বুঝিয়ে গিয়েছেন। এরপর আমার আর কিছু বলার থাকে না। বিশ্বজিৎ দাস যা বলছেন তা স্বরাষ্টমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করেই । কে কাকে ব্লাক মেইল করছে বুঝে নিন।”
এদিকে সি এ এ নিয়ে বিজেপি ভাঁওতা দিচ্ছে বলে এদিন ফের অভিযোগ করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “ওরা মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করছে। এসব ভাওতা দিচ্ছে। বিজেপি মিথ্যা বলছে।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.