মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি
তৃণমূলে ভাঙনের রূপরেখা তৈরি করে মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি। দল ভাঙিয়ে কী লাভ হবে, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা তৃণমূলে ভাঙনের আতঙ্ক তৈরি করে জনমানসে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবার আর নয়, বিজেপির হাত ধরে পরিবর্তন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেই আভাস দীনেশ ত্রিবেদী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর পদক্ষেপে।
তৃণমূলের কোমর ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে বিজেপি
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বিজেপি একই পন্থা অবলম্বন করেছে। ২০১৯-এর মতোই তৃণমূলের কোমর ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে যেতে। তার ফলস্বরূপ শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গী হয়ে তৃণমূলের আরও অনেকে গিয়েছেন বিজেপিতে।
দীনেশের পর কি দিব্যেন্দু, জল্পনার অন্ত নেই
এবার দিল্লিতে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সাংসদপদ ও তৃণমূল ছাড়ার বার্তা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এমন সম্ভাবনাই উজ্জ্বল হয়েছে। এরই মধ্যে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী আবার দিল্লি যাচ্ছেন। যদিও তিনি তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তৃণমূলের দুই সাংসদ কি বিজেপিতে প্লাস হবেন
তবুও একই দিনে ঘটনা পরম্পরায় দিব্যেন্দুর দিল্লি-যাত্র নিয়ে জল্পনা থেমে থাকছে না। একই দিনে দীনেশ ত্রিবেদী আর দিব্যেন্দু অধিকারীর তরফে পৃথক পৃথক বার্তায় তৃণমূলকে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রাখতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল তো এখন থেকেই তৃণমূলের দুই সাংসদকে বিজেপিতে প্লাস করে দিয়েছে।
দয়া করে অন্য কারণ খুঁজবেন না, বার্তা দিব্যেন্দুর
দীনেশ ত্রিবেদী সরাসরি তৃণমূলে মাইনাস। তিনি তৃণমূল ছাড়ার বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। তবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কি না স্পষ্ট করেননি। আর শুভেন্দু-অনুজ দিব্যেন্দু পরিষ্কার জানিয়েছেন, বহুদিন লোকসভায় যেতে পারিনি বহুদিন। এতদিন পর যাচ্ছি। আমি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছি। দয়া করে অন্য কারণ খুঁজবেন না।
বিজেপি ফায়দা তুলতে চাইছে, জনতার কাছে বার্তা
তৃণমূল এখন থেকেই বার্তা দিতে শুরু করেছে, সাংগঠনিকভাবে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না, দুই সাংসদ চলে গেলে। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি যে ফায়দা তুলতে চাইছে, তা তুলতে সমর্থ হবে। জনতার কাছে বার্তা যাবে, শাসকদল তৃণমূলে থাকতে পারছেন না বা তৃণমূলে থাকা যাচ্ছে না। মমতা যে দলে ধরে রাখতে পারছেন না তাঁর নেতাদের, তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে।