সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : ১১ মাসের দীর্ঘ প্রতিক্ষা। তারপর আজ স্কুল খোলার কথা ছিল। আর সেই প্রথম দিনেই নাকি বনধ! অতএব স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও বিজ্ঞপ্তি না দিলেও অনেকেই স্কুল গেল না প্রথম দিনে। অনেকটাই বনধের জেরে ঝামেলার ভয়। হ্যাঁ , একদমই তাই। এমন কারণই শোনা যাচ্ছে পড়ুয়াদের থেকে। ওঁরা সবাই চেয়েছিল আজ স্কুল যাবে কিন্তু তা আর হল কই?
ছাত্র যুবদের উপর পুলিশ অত্যাচার করেছে পুলিশ তাই বনধ ডেকেছে বামেরা। আর এমন একদিনে তারা বন্ধ ডাকলেন যেদিন শিক্ষা ফিরছিল স্বাভাবিক ছন্দে। অনেকেই স্কুল না গিয়ে থাকল বাড়িতেই। অনেকেই ভেবেছিল যে বন্ধুদের সঙ্গে বহু পর দেখা হবে । অনেক কথা জমে আছে, অনেক গল্প পড়ে রয়েছে। মুখে মাস্ক পড়ে চার বার স্যানিটাইজার হাতে ঘষে হলেও বন্ধুদের সঙ্গে আজ ১১ মাস পর দেখা হবে। অনেক প্রিপারেশন , অনেক ভাবনা, আরও অনেক কিছু। সবই গেল চুলোয়, সৌজন্যে বনধ।
হাওড়ার বিধুভূষন স্কুলের পড়ুয়া সঞ্চিতা সিমানী জানিয়েছে, ‘ভেবেছিলাম স্কুল যাব। কিন্তু কাল বিকালে খবরে জানলাম আজ বনধ। অনেক প্ল্যান ছিল সব বাদ। সামনে সরস্বতী পুজো ছিল। সেই সব প্ল্যান করার কথা হয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে সেটার অপেক্ষাও আরও একদিন বাড়ল।’ অর্ক দেবনাথ ব্যাটরা মধুসূদন পালচৌধুরী স্কুলের ছাত্র। সে জানাল, ‘বনধে জানি না এখন কোথায় কি হবে। ভেবেছিলাম স্কুল যাব। কিন্তু ওই বনধের জন্যই আজ বাদ রাখলাম। আবার পরের দিন যাব। ১১ মাস অপেক্ষার পর স্কুল খুলেছিল। জানি আবার পরের দিন দেখা হবে তবে অপেক্ষার পরিমান আরও একদিন বাড়ল এটাই খারাপ লাগার’।
রামকৃষ্ণ শিক্ষালয়ের ছাত্র প্রদীপ সামন্ত জানিয়েছে, ‘স্কুল খুলবে বলে অপেক্ষা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত খুলল, স্কুল থেকে আসতে হবে না এমন বলেনি কিন্তু যদি কোথাও ঝামেলা হয় তাই বাড়ি থেকেই যেতে বারন করল, তাই আজ বাড়িতেই রয়ে গেলাম’। বিধুভূষন স্কুল কমিটি জানিয়েছে, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত আগেই হয়ে গিয়েছিল যে স্কুল খোলা থাকবে। শিক্ষা দফতরে পক্ষে বলা হয়েছিল স্কুল খোলা থাকবে। এবার বাড়ি থেকে যেমন ছাত্র ছাত্রীদের পাঠাবে তেমন তারা আসবে। বনধের জন্য স্কুল বন্ধ থাকবে না এটা স্পষ্ট ছিল। সেটাই করা হয়েছে’।
এদিকে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন , ‘আমরা স্কুল পড়ুয়াদের এই বনধ থেকে দূরেই রেখেছিলাম। যারা স্কুল যেতে চাইবে তারা যাবে। আমরা কাউকে আটকাবো না’ বিমান বসু বলেন , ‘আমাদের বনধ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পালিত হচ্ছে। স্কুল খুলতেই পারে আমরা এতে বাধা দেব না। আমাদের ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে চটজলদি প্রতিবাদ জানিয়েছি। সেটার প্রভাব সমস্ত জায়গায় পড়েছে।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.