শাহের কোপে বিশ্বজিৎ
বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক তিনি। তারপরেই অমিত শাহের সভায় ঢোকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সূত্রের খবর ঠাকুর নগরে অমিত শাহের সভায় প্রথমে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছিল না তাঁকে। প্রায় আধঘণ্টা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। শেষে ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। আধঘণ্টা পর শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে শেষে অমিত শাহের সভায় ঢুকতে পারেন বিজেপি নেতা।
মমতাকে প্রণামের জের
শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হয়েই এক প্রকার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। রাজ্য বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিং কথা বলতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পরে তাঁরা কথা বলতে যান মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে। সূত্রের খবর সেখানে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম করেছিলেন দুই বিজেপি নেতা। পুরোটাই সৌজন্য বলে দাবি করেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু তাঁর উত্তর সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি বিেজপির।
বিশ্বজিতের সঙ্গে বৈঠক
বিশ্বজিৎ দাসের এই পদক্ষেপের পর নড়েচড়ে বসে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কথা বলেন বিশ্বজিতের সঙ্গে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি অমিত শাহ। ঠাকুরনগরের সভাতেই বিশ্বজিতের প্রবেশে বাধা তৈরি করে তার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সেনাপতি। যদিও আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন দলের অনুমতি নিয়েই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিধানসভায় আলাদা করে কথা বলেছিলেন।
ত্রাতা শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী গতকাল ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন বিশ্বজিতের কাছে। তিনিই উদ্যোগী হয়ে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলে অমিত শাহের সভায় প্রবেশের অনুমতি নেন। যদিও বিশ্বজিৎকে অমিত শাহের সভায় আটকানোর নেপথ্যে ছিলেন শান্তনু ঠাকুর এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই নিয়ে প্রবল চাপান উতোর তৈরি হয়েছে বিজেপিতে। বিশ্বজিৎ দাসের দলবদলের জল্পনা নতুন করে মাথা চারা দিয়েছে।