দিনে যারা টানা ৮-৯ ঘন্টা কাজ করেন বা যারা হাউজওয়াইফ, সকলেরই বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু নানা রকম পারিপার্শ্বিক চাপের মুখে পড়ে অনেকসময় ব্যাহত হয় আমাদের বিশ্রাম বা মানসিক শান্তি। সেক্ষেত্রে অনেকসময়ই কাজ করতে গিয়ে কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়েন ক্লান্তিতে বা অযথা ঘুমিয়ে পড়ার একটা লক্ষণ দেখা যায়। এটা কি আদৌ ঠিক বা শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর?
সাধারণত রাতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমকে স্বাভাবিক ঘুমের সময় হিসেবে ধরা হয়। তার থেকে বেশি অর্থাৎ নয়-দশ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি ঘুমোলে তা নিশ্চিতভাবেই অতিরিক্ত ঘুম বলেই চিহ্নিত হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে ভাবার বিষয় হলো যে বেশি ঘুম আমরা তখনই ঘুমাই যখন আমাদের শরীর হাল ছেড়ে দেয় বা আমরা আর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনা।
এর ফলে শরীর যেমন খারাপ হয়ে যায়, তেমনি মুখে বয়সের দাগ, অনুজ্জ্বলতা বা মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে। আবার নানা রোগ থাইরয়েড, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, স্লিপ অ্যাপনিয়া ও হতে পারে। তবে এর বাইরেও যদি আপনার জীবনযাপন পদ্ধতি স্বাভাবিক না হয় অর্থাৎ খুব দেরিতে রাতে বাড়ি ফেরা বা মাঝে মাঝেই মদ্যপান বা অতিরিক্ত ধূমপান করলেও এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে এমনটা হলে আপনাকে সঠিক উপায় বের করে দ্রুত এর মীমাংসা করতে হবে। শারীরিক সমস্যা না থাকলে অতিরিক্ত ঘুমকে কাবু করা যায় এই টিপসগুলি দিয়েই।
১. দুপুরের ঘুম ছাড়া অনেকেরই চলে না। একটু বয়স বেড়ে গেলে এই ঘুমটা বর্জন করাটাই শ্রেয়। তবে একেবারে বাদ দিতে হবে না। দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ১ ঘন্টা একটু অন্য কাজ যেমন বই পড়া বা হাঁটাচলা বা গল্প করে পাওয়ার ন্যাপ নিতে পারেন। এই পাওয়ার ন্যাপের ব্যাপারটি যারা অফিসে থাকেন তারাও মেনে চলতে পারেন। পাওয়ার ন্যাপের ব্যাপারটি যেন ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী না হয় সেটাও খেয়াল রাখবেন।
২. রাত্রিবেলা ঘুমানোর একটা নির্দিষ্ট রুটিন করে ফেলুন। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান না থাকলে সেই নিয়মের বাইরে যাবেন না। নিয়মিতভাবে এটা বেশ কিছুদিন ফলো করলে শরীর ধাতস্থ হয়ে যাবে।
৩. ঘুমানোর সময় প্রতিদিন কি কি সমস্যা হচ্ছে বা মাথায় কি ভাবনা আসছে সেটা নিয়মিত লিখে রাখুন। এরপর একটা সময় বুঝে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.