
ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ
এদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের আত্মনির্ভর ভারত অ্যাপ চ্যালেঞ্জও জিতে নেয় এই ভারতীয় মাইক্রো-ব্লগিং অ্যাপ। এমনকী কৃষক আন্দোলনের আবহে টুইটারের সঙ্গে ঝামেলার জেরেই কু-কে আরও বেশি করে সামনে আনতে শুরু করে কেন্দ্রও। এবার এই অ্যাপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন ফরাসি সিকিউরিটি রিসার্চার রবার্ট ব্যাপটাইজ। তাঁর দাবি ব্যাবহারীদের ই-মেল আইডি, নাম সহ একাধিক ব্যক্তিগত তথ্য অন্যত্র ফাঁস করে দিচ্ছে এই অ্যাপ।
আমেরিকায় ডোমেন রেজিস্ট্রেশন
এমনকী তাঁর দাবির সপক্ষে টুইটারে বেশ কিছু স্ক্রিনশটও পোস্ট করতে দেখা যায় এই ফরাসি গবেষককে। টুইটারে তাঁর এলিয়ট অ্যান্ডারসন নামে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখান থেকেই তিনি এই সংক্রান্ত পোস্ট করেন। এমনকী তিনি এও জানিয়েছেন কু-র একটি ডোমেন আদপে আমেরিকায় রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে।চিন থেকেই কোনও সংস্থা এই রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বাড়ছে চাপানৌতর
এদিকে ভারতীয় ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগে টিকটক, উই চ্যাট সহ প্রায় শতাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। ভারত থেকে তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচারে অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সেই সময় বিস্তর জলঘোলা হয়। এমতাবস্থায় এবার কেন্দ্রের পুরষ্কার প্রাপ্ত ভারতীয় এই অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেখা মিলছে এই নয়া সাইটে
এদিকে কার্যত টুইটারের মতই একই ধরণের মাইক্রোব্লগিং সাইট কু। এতে ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, কন্নড়, মরাঠি, তামিল ও তেলুগুর মত একাধিক ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষায় পোস্ট লেখা যায়। তবে তা টুইটারের মতো ৪০০ ক্যারেক্টারের মধ্যেই। পাওয়া যায় অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে। এদিকে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সংঘাতের জেরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও কু অ্যাপ ব্যাবহার করছেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ সামনে আসায় বাড়ছে উদ্বেগ।
প্রায় ৩০ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিয়ে মাঠে নামে কু
এদিদেক ইতিমধ্যেই ৩০ লক্ষ মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি অ্যাক্টিভ সদস্যের সংখ্যাও ১০ লক্ষের কাছাকাছি। এদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে লঞ্চের আগে এই অ্যাপ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪১ লক্ষ ডলার বা প্রায় ৩০ কোটি টাকা তুলেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে অ্যাকসেল, কালারি ক্যাপিটাল, ব্লুম ভেঞ্চারস, ড্রিম ইনকিউবেটর সংস্থাও রয়েছে। বর্তমান সমস্যার জেরে চিনা বিনিয়োগকারীরা পিছু হটলেও ভারতীয় বিনোয়গকারীরা বিশেষ উচ্চবাচ্য করছেন না বলেই জানা যাচ্ছে।