সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাচ্ছে দেশে চাকরির রূপরেখা। তবে সম্ভাবনার দিক থেকে দেখলে এখনো সেটা নেগেটিভেই আছে বেশি। পাশাপাশি মহামারীতে দীর্ঘ লক ডাউনে বিশ্বজুড়েই আর্থিক মন্দ মাথাচাড়া দিয়েছে। কর্মী ছাঁটাই, কোম্পানির গেটে তালা ঝোলানোর খবর তো হামেশাই পেপার খুললে দেখা যাচ্ছে। তাতে চাকরি নিয়ে সবথেকে বেশি টেনশনে রয়েছে বর্তমান প্রজন্ম। মহামারীর দাপট কবে কমবে সেটা বলা অসম্ভব কিন্তু একটা ব্যাপার হলপ করে বলা যায় যে এই ভাইরাস এসে গোটা পৃথিবীর কর্ম পদ্ধতিটিকেই নাড়িয়ে দিয়ে গেলো।
এই পরিবর্তিত হতে থাকা কর্মপন্থা ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ না খাওয়াতে পারলে কাজে মিলবে না ঠাঁই। দক্ষতা তো থাকতেই হবে তবে সবার যে দরকার মানসিকতায় বদল। তাই নিজেকে এই বাজারেও টিকিয়ে রাখতে গেলে যে যে ব্যাপারগুলি অভ্যাসে রাখতে হবে তা পড়ে নিন একবার।
১. মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা: যে স্পিডে কাজের ধরণ পাল্টাচ্ছে তাতে খুব কম মানুষই তা মানিয়ে নিতে পারবেন। অনেকের প্রশ্ন জাগবে কেন এমন হচ্ছে। উত্তর একটাই, কম সময়ে অনেকটা প্রোডাকশন করার চেষ্টা যাতে কমতিটা পুষিয়ে দেওয়া যায়। তার জন্যে বাড়াতে হবে আপনার পরিবেশকে আপন করার ক্ষমতা। এখন দেশজুড়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচার চলছে এবং সকলেই তাতে স্বচ্ছন্দ হচ্ছেন। এই কালচারে কাজের সময়, কাজের পদ্ধতি সব বদলাচ্ছে। তাই ভালো-মন্দ দুইদিক মাথায় রেখেই তা নিয়ে এগোতে হবে আপনাকেও।
২. দক্ষতা: যেহেতু সময় কম,তাই অল্প সময়ে নিজের বেস্টটা আপনাকে দেখাতে হবেই। তবে বস বা কর্মীদের কাছে আপনার কদর বজায় থাকবে। এই দক্ষতা প্রযুক্তিতে প্রতিফলিত যেন হয় তা মাথায় রাখবেন। আজকাল নানা ধরণের উন্নত প্রযুক্তি বেরোচ্ছে। সেগুলির সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখবেন। প্রয়োজনে তা নিয়ে আপনার মতামত দেবেন উর্ধতনকে। এর পাশাপাশি একটা কাজে আটকে থাকবেন না। অফিসের কাজ করার পাশাপাশি কোনো ভালো অনলাইন কোর্স করুন যার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
৩. মূল্যায়ন ক্ষমতা: নতুন ধারায় কাজ করতে গিয়ে সব যে ভালো হবে তার মানে নেই কোনো। অনেক সমস্যাও আসতে পারে। আপনার মধ্যে এমন ক্ষমতা থাকতে হবে যাতে আপনি নিজেই সেইসব পন্থা ও পদ্ধতি নিয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং দরকারে তার ভালো-মন্দ সম্পর্কে অন্যকে বোঝাতে পারেন। এতে নিজেও থাকবেন আপডেট ও আপনার কোম্পানিসহ বাকিদেরকেও আপডেট থাকতে সাহায্য করবেন আপনিই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.