নয়াদিল্লি: প্যাংগং হ্রদের দুই পাশ থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ভারত ও চিন। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর বিবৃত ইঙ্গিত দিয়েছে যে প্য়াংগং হ্রদে সেনা মোতায়েন নিয়ে দুই দেশের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। সেই কারণেই দুই দেশ মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে এসেছে।
রাজ্যসভায় এদিন রাজনাথ বলেন, “আমি হাউজকে আজ বলতে পেরে খুশি যে চিনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। এখন আমরা প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা সরানো নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।” রাজনাথ আরও জানিয়েছেন, দুই দেশের শীর্ষ কম্যান্ডারদের মধ্য়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে আবার বৈঠক হবে। তবে তার আগে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কীভাবে এই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল সে কথাও জানিয়ছেন রাজনাথ। বলেছেন, প্যানগং হ্রদের পাশ থেকে সেনা সরানো নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। উভয় পক্ষই সম্মতি দিয়েছে যে তারা তাদের অগ্রসর হওয়া বন্ধ করবে। চিন ফিঙ্গার ৮-এর পূর্ব দিকে উত্তর তীরে অঞ্চলে তাদের সেনা মোতায়েন রাখবে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার ৩-এর কাছে ধন সিংহ থাপ পোস্টে তাদের স্থায়ী ঘাঁটি করবে।
গত বছরের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত লাদাখের ভারত-চিন সীমান্ত। এই পরিস্থিতিতে আগেও একাধিকবার দুই দেশের মধ্যে বৈঠকে হয়েছে। কিন্তু, কোনও সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে গত বছরের ১৫ জুন গালওয়ানে দুই দেশের মধ্য়ে সংঘর্ষ হন। তাতে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। ভারতের তরফে দাবি করা হয়, সংঘর্ষে চিনের অনেক সৈনিক মারা গিয়েছেন। যদিও বেজিং এই নিয়ে তেমন কোনও তথ্য দেয়নি। এরপর অগাস্টে শেষে ফের গোলাগুলি চলে সীমান্তে।
পূর্ব লাদাখের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সিকিমের নাকু লা-তে দুই দেশের সেনার মধ্য়ে সংঘর্ষ হয়। চিনা ফৌজ ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তাতে বাধা দেয় ভারতীয় সেনা। তখনই হয় সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষেও দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বারবার এভাবে চিনের অনুপ্রবেশের চেষ্টার কারণে সতর্ক ছিল ভারতীয় সেনা। একাধিকবার আলোচনার পরও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এবার যখন আলোচনার শেষে দুই দেশ সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হল, তখন আগামী দিনে সংঘর্ষ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.