৮৫ শতাংশ জেলাই বন্যা প্রবণ
শক্তি, পরিবেশ ও জল পরিষদের রিপোর্ট স্পষ্টতই বলছে উত্তরাখণ্ডের ৮৫ শতাংশ জেলাই আদপে প্রবল ভাবে বন্যা প্রবণ। এমনকী রয়েছে তুষারধসের কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা। আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ। এমনকী ১৯৭০ সালের পর থেকেই উত্তরাখণ্ডে বন্যার তীব্রতা প্রায় চারগুণ বেড়েছে। এমনকী বেড়েছে ভয়াবহতার পরিমাণও, এমনটাই বলছে সিইইডাব্লু-র রিপোর্ট।
বেড়েছে হিমবাহ ধস, হড়পা বানের পরিমাণ
এমনকী বন্যার পাশাপাশি গত পাঁচ দশকে এই রাজ্যে হিমবাহ ধসের পরিমাণ, হড়পা বান, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ভূমি ধ্বসের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে চামোলির জেলার পাশাপাশি হরিদ্বার, নৈনিতাল, পিথোরাগড়, এবং উত্তরকাশি জেলা রীতমতো বন্যা প্রবণ বলে জানাচ্ছে শক্তি, পরিবেশ ও জল পরিষদের রিপোর্ট।
০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্র বৃদ্ধি
অন্যদিকে ডিসেম্বরে প্রকাশিত প্রিপেয়ারিং ইণ্ডিয়া ফর এক্সট্রিম ক্লাইমেট ইভেন্ট শীর্ষক প্রতিবেদনে এও বলা হচ্ছে গত একদশকে এই সমস্ত অঞ্চলে তাপমাত্রা প্রায় ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। বর্তমানে তারই ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত তথ্য যোগারের ক্ষেত্রে ভারত আবহাওয়া দফতর, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা, এবং প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর সাহায্য নিয়েছে শক্তি, পরিবেশ ও জল পরিষদ।
২০ বছরে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে ৫০ হাজার হেক্টর বনভূমি
এদিকে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সিইইডাব্লু-র অন্যতম প্রধান কর্মকর্তা অবিনাশ মোহান্তি যথেষ্ট উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, " গত সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ বন্যাই প্রমাণ করে আদপে আমরা কতটা খারাপ সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে দাঁড়িয়ে জলবায়ু সঙ্কটের কথা কোনোভাবেই আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না।এমনকী গত ২০ বছরে শুধুমাত্র বন্যার কারণে উত্তরাখণ্ডের ৫০ হাজার হেক্টর বনভূমি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। "