কলকাতা: আবারও রাজ্য সরকারকে তুলোধনা রাজ্যপালের। বিধানসভা ভোটের মুকে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও বাড়ল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলে এদিন আবারও অভিযোগ তুলেছেন ধনকড়। একইসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনেও সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন রাজ্যপাল।
শিয়রে বিধানসভা ভোট। সরগরম রাজ্য।-রাজনীতি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের নির্বাচনী উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে আবারও রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘‘ডায়মন্ড হারবারে আমি গেলে আমাকে গার্ড অফ অনার দিতে নিষেধ করা হয়। এটা কী ভদ্রতা? একটা সময় সংস্কৃতির পীঠস্থান ছিল বাংলা। এখন এখানে কিছু নেই। শিল্প নেই, কারখানা নেই, চাকরি নেই।’’
রাজ্যে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকে নানা ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কখনও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যপাল, কখনও আবার শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় চড়িয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যপালকে বিজেপির এজেন্ট বলে কটাক্ষ করেছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে প্রস্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতকিছুর পরেও রাজ্যপাল তাঁর পুরনো অবস্থানেই অনড় রয়েছেন।
বিধানসভা ভোটের মুখে ফের রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সরকারের একইসঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন আবারও রাজ্য প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যপালকে।
বিধানসভা ভোট যত এগোচ্ছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতির আঙিনা। একদিকে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ক্ষমতা ধরে রাখতে সচেষ্ট শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ভুরি-ভুরি অভিযোগ তুলে ময়দানে বিজেপি। একুশের ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া পদ্ম শিবির। পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেসও। এহবারের ভোটে জোট করে লড়ছে এই দুই দল। ইতিমধ্যেই দু’দলের জোট বেশ খানিকটা পোক্ত হয়েছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে দু’দলের কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.