'পাণ্ডুয়ার বিধায়ক ও হুগলির সাংসদ আসেনই না এই অঞ্চলে'
এদিন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কল্যাণবাবু বলেন, 'তৃণমূল সরকার কাজ করেছে। সকল পরিবার সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু পাণ্ডুয়ার বিধায়ক ও হুগলির সাংসদ আসেনই না এই অঞ্চলে। তাঁরা কোনও কাজ করেনি।' তবে এবিষয়ে তাঁকে আক্রমণ করেছে সিপিআইএম ও বিজেপি। শাসকদলকেই উন্নয়নের দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি বিরোধীদের।
গত দশ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন কল্যাণ
রিপোর্ট কার্ড নিয়ে পাণ্ডুয়ার সিমলাগরের চাপাহাটি কলোনিতে জনসংযোগের জন্য বাড়ি বাড়ি ঘোরেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত দশ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, জাতি শংসাপত্র, জবকার্ড-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কি না তার খোঁজ খবর নেন তিনি।
পানীয় জলের কষ্ট সাধারণ মানুষের
সেই সময় কলোনির বাসিন্দারা সাংসদকে জানান, সেখানে পানীয় জলের কষ্টের কথা। কলোনির ভিতরের রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। পাশাপাশি কয়েকজন ছাত্রী জানান, অনেক জায়গায় আবেদন করেও কোনও চাকরি মেলেনি। কলোনির বাসিন্দা রিঙ্কু দে সাংসদকে জানান, তাঁর ঘর নেই। আমফানের কোনও ক্ষতিপূরণ তিনি পাননি। এসইসি লিস্টে নাম না থাকায় কোনও সাহায্য দেওয়া যায়নি বলে জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ কল্যাণের
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই তালিকা তৈরি করে। বিজেপির জন্যই গরিব মানুষরা বঞ্চিত। পাণ্ডুয়া ব্লকে যাঁরা এই ধরনের মানুষ আছেন, ভোট মিটে গেলে তাঁদের তালিকা তৈরি করে সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে। সেইসঙ্গে তিনি জানান, রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
পাল্টা তোপ বিজেপির
এবিষয়ে পাণ্ডুয়ার স্থানীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য, দশ বছর কিছু করেননি। পঞ্চায়েত থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা লুটেপুটে খেয়েছে। তাই মানুষ ক্ষোভ দেখিয়েছে। ভোটের আগে শ্রীরামপুরের সাংসদকে এসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে হচ্ছে। বিজেপি সাংসদকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয় না। বিজেপির সদস্য থাকলেও পঞ্চায়েত বৈষম্য দেখানো হয়।