নয়াদিল্লি: দুমাসের বেশি দিন ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। এখনও কোনও সমাধান সূত্র না বের হওয়ায় এবার আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে চাইছে কৃষক সংগঠনগুলির। তারই অঙ্গ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি কৃষকরা রেল রোকোর ডাক দিয়েছে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত দেশজুড়ে রেল রোকো করা হবে। তাছাড়া তার আগে এবং পরে আরও কিছু কর্মসূচি রাখা হয়েছে।
সংসদে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে বারবার এই কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে নানা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। তাদের দাবি তো মানা হয়নি উল্টে তাদের সম্পর্কের ‘আন্দোলনজীবী’, ‘পরজীবী’ ‘বিভ্রান্ত ‘ইত্যাদি ধরনের মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এইসব কারণে কৃষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দূরত্ব বাড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফলে কৃষকেরা চাইছেন আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে। বুধবার সংযুক্ত কৃষক মোর্চা বৈঠকে বসে ছিল আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করার জন্য।
এই বিষয়ে সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, ৭৫ দিন ধরে আন্দোলনরত কৃষকেরা দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছে। নয়াকৃষি আইন তুলে দেবার দাবি তুলেছে। এজন্য সরকারের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা চললেও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। কৃষকেরা চেয়েছিল সরকার পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে কিন্তু বদলে সরকার আক্রমণের পথ নিয়েছে। নানাভাবে কথা বলে কৃষকদের বদনাম করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের আন্দোলন করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সংবিধান কৃষকদের প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে আর সেটাই তারা প্রয়োগ করছে এই আন্দোলনের মাধ্যমে।
হরিয়ানাতে ইতিমধ্যে কৃষক টোলপ্লাজা খুলে দেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলনের জন্য ১২ফেব্রুয়ারি থেকে রাজস্থানে টোলপ্লাজা খুলে দেওয়া হবে। এভাবে সড়ক পথ টোলমুক্ত করা হচ্ছে। গতবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা বিস্ফোরণ নিহত হয়েছিলেন সেনারা। সেই নিহত শহিদ জওয়ানদের স্মরণে দেশজুড়ে মশাল মিছিল করা হবে। ওইদিন সন্ধে সাতটায় দেশের গ্রামেগঞ্জে ও শহরে মশাল মিছিল করা হবে এইজন্য কৃষক মোর্চার পক্ষ থেকে অন্যান্য গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলিকে ওই মিছিলে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের কৃষকনেতা ছোটু রামের জন্মদিন উপলক্ষে দেশজুড়ে কৃষকেরা নানা জায়গায় সভা সমাবেশ করবেন। ওইসব সভা সমাবেশের মাধ্যমে এই আন্দোলনের কথা ব্যাখ্যা করা হবে।এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি রেল রোকো কর্মসূচি রাখা হয়েছে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত দেশজুড়ে রেল রোকো করা হবে।
প্রসঙ্গত এর আগে কৃষক মোর্চা গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে হরতাল পালন করেছে। তাছাড়া ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেড করতে দেখা গিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রেল রোকোতেও সরকারের যদি হুশ না ফেরে তাহলে এই আন্দোলনের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.