পানাজি: প্রথম লেগের ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও ফিরতে হয়েছিল শূন্য হাতে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে জোড়া গোল করে এক লহমায় ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন আরিদেন সান্তানা। পরে আরেকটি গোল করেছিলেন হালিচরন নার্জারি। জ্যাক ম্যাঘোমার জোড়া গোলেও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হার এড়াতে পারেনি লাল-হলুদ। দ্বিতীয় লেগে সেই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার আইএসএলের ১৭তম ম্যাচে মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল। পাঁচ ম্যাচ পর গত রবিবার জামশেদপুরকে হারিয়ে কিছুটা হালে পানি পেয়েছে দল। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই আগামীকাল নিজামদের বিরুদ্ধেও জয়ের খোঁজে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

কিন্তু সেই ম্যাচের আগে দলের সহকারী কোচ টনি গ্রান্টের চিন্তায় হায়দরাবাদ এফসি’র ভারতীয় ব্রিগেডের ফুটবলাররা। ম্যাচের আগেরদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মিডিয়া টিমকে সেকথাই জানালেন গ্রান্ট। ফাওলারের ডেপুটি বলেন, ‘হায়দরাবাদকে আমি উপরের সারিতেই রাখব। আমার মনে গত দু’বছর ধরে ওরা দারুণ সব ফুটবলার রিক্রুট করেছে। আর ওদের ভারতীয় প্লেয়ারগুলো তো দুর্দান্ত। ওরা নিজেরা নিজেদের সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।’

গত ডিসেম্বরে প্রথম লেগের ম্যাচের মূল্যায়ণ করতে গিয়ে গ্রান্ট ওই ম্যাচে হারের কারণ হিসেবে ‘খারাপ ফুটবল’কে দায়ী করেন। ফাওলারের সহকারী বলেন, ‘প্রথমবার আমরা যে ম্যাচে ওদের মুখোমুখি হয়েছিলাম সেই ম্যাচে ভীষণ খারাপ ফুটবল উপহার দিয়েছিলাম আমরা। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জোড়া গোল হজম করতে হয়েছিল আমাদের। আগামীকালের ম্যাচটাও কড়া চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য।’ উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ০-২ গোলে হেরে প্লে-অফের যে স্বপ্নটা ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল, গত ম্যাচে ভালস্কিসদের বিরুদ্ধে জয় সেই স্বপ্নটাকেই ফের নতুন করে ভাসিয়ে তুলেছে।

আর সেই জয় অনেকটাই সহজ হয়েছে প্রথম একাদশে পাঁচজন বাঙালি ফুটবলারের উপস্থিতিতে। ছ’টি পরিবর্তন এনে গত ম্যাচে তাঁর একাদশ সাজিয়েছিলেন গ্রান্ট। শুক্রবার বড়সড় অঘটন না ঘটলে প্রায় একই দল ধরে রাখার বার্তা এদিন দিলেন এভার্টন-ম্যান সিটির প্রাক্তনী। পাশাপাশি বল নিজেদের দখলে রেখে খেলার চেষ্টা করবে ইস্টবেঙ্গল, এমনই জানালেন গ্রান্ট। উইথ দ্য বলে তাঁর দলের ফুটবলাররা যে হায়দরাবাদের ব্যাপক বাধার কারণ হতে পারে, সেটাও শুনিয়ে রাখলেন ফাওলারের সহকারী।

শেষে মুম্বই থেকে আগত দুই ফুটবলার সার্থক গোলুই এবং সৌরভ দাসের অভিষেক পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন গ্রান্ট। তিনি জানান, ‘প্রথম ম্যাচের নিরিখে ওদের পারফরম্যান্সে আমি মুগ্ধ। তবে আরও অনেক উন্নতি ওদের মধ্যে বাকি রয়েছে। সুযোগ পাওয়াটাও সেক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি জানি না ওরা গত মরশুমে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে কীনা। তবে আমরা ওদের সুযোগ দিতে চাই কারণ, ওদের দু’জনকে আমাদের মনে ধরেছে। একইসঙ্গে ওদের মধ্যে উন্নতি করার আকাঙ্খাও তীব্র।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।