কলকাতা ও হাওড়া: মারলেও থামব না। পুলিশ তোমার বাড়ির সন্তানের চাকরি হবে। বাম সরকার ফিরছে। তাই মিষ্টি খান। এমনই দাবি বাম সংগঠনগুলির নেতাদের। পুলিশ কে মিষ্টি খাইয়েই মিছিল ভাঙবে ব্যারিকেড।
শিল্প কর্ম সংস্থানের দাবিতে ১০টি বাম ছাত্র যুব সংগঠন ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনে যৌথভাবে নবান্ন অভিযান ঘিরে বিরাট ব্যারিকেড। অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দিল্লির সিঙ্ঘু বর্ডারের মতো ব্যারিকেড করেছে।
হওড়ায় রাজ্য প্রশাসনের কেন্দ্র নবান্ন ভবনের অভিযান রুখতেই কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের ব্যারিকেড অন্তত তিন স্তরের। এলুমিনিয়ামের ব্যারিকেড ছাড়াও রয়েছে জলকামান।
এদিকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, পুলিশ যতই ব্যারিকেড করুক দিল্লির মতো, সেটা ভেঙেই মিছিল যাবে নবান্ন পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের কর্মবিমুখ পরিবেশ কে রুখতে হচ্ছে আন্দোলন।
কলকাতায় ব্যারিকেডের এমন বহর আগে দেখা যায়নি বলেই বাম নেতাদের দাবি। অভিযোগ, কৃষি আইনের বিরোধিতায় লক্ষ লক্ষ কৃষককে ঘিরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেমন দিল্লির চারদিকে ব্যারিকেড গড়েছে, অনেকটা তেমনই কলকাতায় দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাম সংগঠনগুলির সমর্থকরা উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলি থেকে শিয়ালদহ, হাওড়ায় ঢুকতে শুরু করেন। হাওড়াতেই নবান্ন। সেখানে যেতে পরপর পুলিশের বাধা পেরোতে হবে। অন্যদিকে পুলিশ তৈরি মিছিল রুখতে।
কলকাতার দিক থেকে যাওয়া মিছিলের সামনে ব্যারিকেড ঘিরে তৈরি হচ্ছে জটিলতা। বামেদের অভিযোগ, দেড় মাস আগে এই নবান্ন অভিযানের কথা সরকারকে জানানো হয়েছিল। পুলিশ জানে শান্তিপূর্ণ মিছিল হবে। তবুও বিরাট ব্যারিকেড কেন?
দশটি বাম সংগঠনের দাবি, সরকারকে লাল কার্ড দেখতেই এই মিছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাত স্পষ্ট। এই আঁতাত কে কটাক্ষ করে বামেদের দাবি, মিছিলের অন্যতম স্লোগান যাহা নবান্ন তানাখ ছাপান্ন।
রাত থাকতেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কলকাতার দিকে বাম যুব সংগঠনগুলির সদস্যরা কলকাতা আসতে শুরু করেছেন।পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে তাঁরা হাওড়ায় রাজ্য প্রশাসনের সদর কার্যালয় নবান্ন ভবন ঘেরাও করছেন।
কলকাতা ও হাওড়া সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনা থেকে মিছিল ঢুকতে শুরু করেছে হাওড়া স্টেশনে। হুগলি শহরতলী থেকেও মিছিল আসছে।
বাম সংগঠনগুলির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে রাজ্যের কর্মসংস্থান শিকেয় উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করা ‘ব্যাপক কর্মসংস্থান’ আদতে ভুয়ো। শিল্পের দাবি ভিত্তিহীন। তাই নবান্ন ঘেরাও করা হবে।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর,আগে বাম সংগঠনগুলির নবান্ন অভিযানের ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই দিক খেলার রেখে নিরাপত্তার কড়াকড়ি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনওভাবেই নবান্ন ভবনের চৌহদ্দিতে মিছিল ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রশাসনিক কাজ যেমন চলছে তেমনই চলবে।
সিপিআইএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিআইয়ের ছাত্র ও যুব নেতৃত্ব থাকবেন মিছিলে। থাকছেন কংগ্রেসের যুব নেতারা ও তাদের ছাত্র সংগঠন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে নবান্ন অভিযান বিরোধা বাম-কংগ্রেস জোটের তরফে দুই দলের যুব কর্মীদের কাছে ‘লড়াইয়ের বার্ত’ বলে মনে করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.