নয়াদিল্লি: মোদীকে পাল্টা জবাব রাহুলের। প্রধানমন্ত্রীর ‘আন্দোলনজীবী’ কটাক্ষের জবাব দিল কংগ্রেস। নাম না করে মোদী সরকারকে ‘ক্রোনি-জীবী’ বলে বিঁধলেন রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ এই কংগ্রেস নেতার। রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি বক্তৃতায় ‘আন্দোলনজীবী’ বলে নাম না করে বিরোধীদেরই কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার মোদীকেই পাল্টা জবাব কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর।
দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। এখনও কোনও সমাধান সূত্র না বের হওয়ায় এবার আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে চাইছে কৃষক সংগঠনগুলি। তারই অঙ্গ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি কৃষকরা রেল রোকোর ডাক দেওয়া হয়েছে।
ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত দেশজুড়ে রেল রোকো করা হবে। তাছাড়া তার আগে এবং পরে আরও কিছু কর্মসূচি রাখা হয়েছে। সংসদে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে বারবার এই কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে নানা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। তাদের দাবি তো মানা হয়নি উল্টে তাদের সম্পর্কের ‘আন্দোলনজীবী’, ‘পরজীবী’ ‘বিভ্রান্ত ‘ইত্যাদি ধরনের মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এইসব কারণে কৃষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দূরত্ব বাড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদীর ‘আন্দোলনজীবী’ কটাক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এনডিএ-র প্রাক্তন শরিক শিরোমণি অকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কৌর। এবার টুইটে এই একই প্রসঙ্গ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে বেনজির আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ টুইটে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘‘দেশ যাঁরা বেচে দিচ্ছেন তাঁরাই ক্রোনি-জীবী’’। লুঠপাট বোঝাতেই ক্রোনি-জীবী শব্দের ব্যবহার হয়।
এদিকে, কৃষি আইন নিয়ে প্রবল আন্দোলন জারি থাকায় অস্বস্তি বেড়েই চলেছে কেন্দ্রের। প্রতিদিন আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়ছে। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে মোদী সরকার। দিন কয়েক আগেই ফের কৃষকদের আলোচনার মাধ্যমেই যাবতীয় জটিলতা কাটানোর আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃশক সংগঠনগুলির নেতাদের মধ্যে ১১ দফা আলোচনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনাতেই সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবুও আলোচনার পথ থেকে সরে আসতে চাইছে না মোদী সরকার। বরং বারবার আলোচনার ভিত্তিতেই জটিলতা কাটাতে মরিয়া মোদী-শাহরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.