কার হাতে কত টাকা?
আইপিএল নিলামে প্লেয়ার্স পার্সে সবচেয়ে বেশি টাকা রয়েছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের, ৫৩.২ কোটি টাকা। কলকাতা নাইট রাইডার্স ১০.৭৫ কোটির বেশি খরচ করতে পারবে না। চেন্নাই সুপার কিংস ১৯.৯ কোটি, দিল্লি ক্যাপিটালস ১২.৯ কোটি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫.৩৫ কোটি, রাজস্থান রয়্যালস ৩৪.৮৫ কোটি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৩৫.৯ কোটি এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১০.৭৫ কোটি টাকা হাতে নিয়ে আইপিএল নিলাম শুরু করবে। এবারের মিনি-অকশনে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে প্লেয়ার নেওয়ার সুযোগ থাকছে না কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে। প্রতি দলে সর্বাধিক ২৫ জন এবং ন্যূনতম ১৮ জন ক্রিকেটার রাখতেই হবে। তার মধ্যে সর্বাধিক ৮ জন বিদেশি রাখা যাবে, ১৭ জন ভারতীয় ক্রিকেটার রাখতেই হবে।
মেগা অকশন ও মিনি অকশনে ফারাক
আইপিএলের নিলাম দু-রকমের। মেগা ও মিনি। তিন বছর অন্তর হয় আইপিএল মেগা অকশন। মিনি অকশন হয় প্রতি বছর। চেন্নাইয়ে হবে মিনি অকশন। এর ফলে প্রতি বছরই কোনও ক্রিকেটারের সামনে সুযোগ আসে আইপিএল খেলার। আইপিএল মেগা অকশনের আগে কোনও দল পাঁচজনের বেশি ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারে না। কিন্তু এবার যে নিলাম হচ্ছে তার ক্ষেত্রে এমন কোনও সীমারেখা নেই।
নজরে কেকেআর
গতবারের দলের থেকে ক্রিস গ্রিন, হ্যারি গার্নি, টম ব্যান্টন, এম সিদ্ধার্থ, নিখিল নায়েক ও সিদ্ধেশ লাডকে ছেড়ে দিয়েছে কেকেআর। প্রতিবারই অভিযোগ ওঠে, বাংলার ক্রিকেটারদের ব্রাত্য রেখেই দল গড়ে কেকেআর। বাংলার ক্রিকেটের উন্নতির জন্যও যে প্রতিশ্রুতি কেকেআর দিয়েছিল, এত বছরে তার কিছুই কেকেআর কর্তৃপক্ষ করেনি বলেও অভিযোগ। তবে এবার কলকাতা দলে বাংলা-সহ পূর্বাঞ্চলের কিছু মুখ দেখা যেতে পারে বলে খবর। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০-তে ক্রিকেটার চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলেছে। জানা গিয়েছে, বাংলার বিবেক সিং ও আকাশ দীপ কেকেআরের নজরে রয়েছেন। বাংলা থেকে আরও কিছু নাম রয়েছে, যদিও তা স্ট্র্যাটেজিগত কারণেই খোলসা করতে চাইছে না কেকেআর। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, কেকেআরের নজরে রয়েছেন পবন নেগি, করুণ নায়ার, মহম্মদ আজহারউদ্দিন। আরসিবি-র হয়ে নেগি ২০১৭ সালের আইপিএলেও ১২ ম্যাচে ১৬ উইকেট পেয়েছিলেন। অভিজ্ঞ করুণ নায়ার কেকেআরের ব্যাটিংয়ে গভীরতা আনতে পারেন নিশ্চিতভাবেই। মহম্মদ আজহারউদ্দিন কেরলের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। এবারের সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০-তে গত মাসেই ১৯৪-এর উপর স্ট্রাইক রেটে ২১৪ রান করেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৫৪ বলে ১৩৭ রান করে ১৬ ওভারেই ১৯৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলেন। টি ২০-তে কেরলের কোনও ক্রিকেটারের এটিই প্রথম শতরান। কেরলের এই ওপেনার কেকেআরেও সুযোগ পেলে ওপেন করতে নেমে ঝড় তুলতেই পারেন।
যে বিদেশিরা কেকেআরের টার্গেট
বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন বিদেশির মধ্যে কেকেআরের পক্ষে সবচেয়ে কার্যকরী হতে পারেন তিনজন। তাঁরা হলেন অ্যালেক্স ক্যারে, ক্রিস মরিস ও জিমি নিশাম। ক্যারে বিগ ব্যাশ লিগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক, এবারের বিগ ব্যাশে তিনি একটি শতরান ও কয়েকটি অর্ধশতরান-সহ ১৩ ম্যাচে ৪২৫ রান করেছেন। গড় ৩২.৬৯। তিনি সহজেই টম ব্যান্টনের জায়গায় কেকেআর দলে আসতেই পারেন দুরন্ত ফর্মের কারণে। ক্রিস গ্রিনের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন ক্রিস মরিস। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডারকে নিলামে টার্গেট করতেই পারে কেকেআর। ২১৮টি টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৫১.০২, বল হাতে ইকনমি ৭.৭৬। আরসিবি জার্সি গায়ে গত আইপিএলেও তিনি ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। হ্যারি গার্নির সেরা বিকল্প হতেই পারেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। সুপার স্ম্যাশের প্রথমার্ধে ওয়েলিংটনের হয়ে ১৫.৫৪ গড়ে তিনি ৬টি ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন, ইকনমি ৭.৫৪। টি ২০ আন্তর্জাতিকে তাঁর ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ১৪৮, হাত খুলে বড় শটও মারতে পারেন। তবে সবটাই নির্ভর করছে এই ক্রিকেটারদের কত দর ওঠে এবং কেকেআরকে এই ক্রিকেটারদের দলে নিতে কতটা লড়াই করতে হয় তার উপরেই।