নয়াদিল্লি : দীর্ঘ কয়েক মাসের অচলাবস্থা কেটে এবার সম্পর্কের উন্নতির পথে ভারত ও চিন। চিন সম্মত হয়েছে প্যাংগং লেকে মোতায়েন সেনা সরিয়ে নিতে। প্রায় ২০ হাজার চিনা সেনা, ট্যাংক, সশস্ত্র গাড়ি ও আকাশপথে হামলার যাবতীয় সরঞ্জাম মোতায়েন করেছিল বেজিং। সেই সব অস্ত্র সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্তে চিনা সেনার ছয় হাজার ট্রুপ মোতায়েন করা ছিল। এইচকিউ-১৬ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, মধ্যম রেঞ্জের ভূমি থেকে আকাশ মিসাইল ও আর্টিলারি গান মজুত করা হয়েছিল। মূলত ফিঙ্গার সেভেনে এইগুলি মোতায়েন করা হয়। অন্যদিকে, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে যেভাবে সেনা সাজিয়েছিল চিন, তা বেশি উদ্বেগজনক ছিল।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর মিলেছিল পিএলএ-র সেনার প্রায় ১০ হাজার ট্রুপ প্যাংগং লেকের দক্ষিণ পাড়ে অবস্থান করছে। রয়েছে ১০০টি ট্যাংক, ৫০টি ইনফ্যান্ট্ররি কমব্যাট ভেহিকল, আর্টিলারি ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রেচিন লা পাসের কাছে সাজানো হয়েছিল অত্যাধুনিক ZTZ-99 ট্যাংক। ছিল ZTZ-88 ট্যাংক, ZTZ04A ইনফ্যান্ট্ররি কমব্যাট ভেহিকল, মর্টার, অ্যান্টি ট্যাংক অস্ত্র।
তবে বৃহস্পতিবার দুদেশের মধ্যে যে সমঝোতা সূত্র তৈরি হয়েছে, তার ভিত্তিতে চিন সেনা ও অস্ত্র সজ্জিত গাড়ি সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে। উল্লেখ্য প্যাংগং হ্রদের দুই পাশ থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ভারত ও চিন। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর বিবৃত ইঙ্গিত দিয়েছে যে প্যাংগং হ্রদে সেনা মোতায়েন নিয়ে দুই দেশের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। সেই কারণেই দুই দেশ মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে এসেছে।
রাজ্যসভায় এদিন রাজনাথ বলেন, “আমি হাউজকে আজ বলতে পেরে খুশি যে চিনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। এখন আমরা প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা সরানো নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।” রাজনাথ আরও জানিয়েছেন, দুই দেশের শীর্ষ কম্যান্ডারদের মধ্য়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে আবার বৈঠক হবে। তবে তার আগে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কীভাবে এই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল সে কথাও জানিয়ছেন রাজনাথ। বলেছেন, প্যানগং হ্রদের পাশ থেকে সেনা সরানো নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। উভয় পক্ষই সম্মতি দিয়েছে যে তারা তাদের অগ্রসর হওয়া বন্ধ করবে। চিন ফিঙ্গার ৮-এর পূর্ব দিকে উত্তর তীরে অঞ্চলে তাদের সেনা মোতায়েন রাখবে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার ৩-এর কাছে ধন সিংহ থাপ পোস্টে তাদের স্থায়ী ঘাঁটি করবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.