স্বাস্থ্যসাথী ও ফ্রি রেশন, জোড়া ট্রাম্পকার্ডেই জয়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনের আগে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রচারে। তাঁর প্রচারের মূল বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্যসাথী ও রেশন। তিনি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন বাংলায় সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী। আর যতদিন তিনি থাকবেন ফ্রি রেশন দেবেন। সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী ও ফ্রি রেশনের মতো জোড়া ট্রাম্পকার্ডেই এবার ভোটে বাজিমাত করবেন তিনি।
জনমুখী এত প্রকল্প কোনও সরকার নেয়নি
মালদহের জনসভা থেকে বারবার মমতার কণ্ঠে উঠে এসেছে স্বাস্থ্যসাথী আর ফ্রি রেশনের কথা। মমতা জানিয়েছেন, দেশের আর কোনও সরকার নেই, যারা জনমুখী এত প্রকল্প নিয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী থেকে শুরু করে সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পই তাঁকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবে।
রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, মমতার সাফাই
মমতা জানান, তিনি জয়ের জন্য কোনও নেতার উপরই ভরসা করেন না। তাঁর ভরসা মানুষের উপর। মানুষের জন্য তিনি প্রকল্পের পর প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। তাই মানুষ তাঁকেই রাখবেন। বিজেপির দাবি রেশন ব্যবস্থায় কেন্দ্রের অবদান রয়েছে। তারপর রয়েছে রেশন দুর্নীতি। আম্ফানের মতো বিপর্যয়ের সময়ও চাল চুরি করেছে শাসকদলের নেতারা। মমতা বলেন, কেন্দ্র তো আর ফ্রি রেশন দেয় না। কোনও দুর্নীতি হয়নি, ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসাথী আসলে ভোটকার্ড, পাল্টা জবাব মমতার
আর স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বিজেপির দাবি, ওটা তো আসলে ভোট-কার্ড। তারপর স্বাস্থ্যসাথী এখনও অর্ধেকের কাছেও পৌঁছয়নি। মমতার কথায়, আর স্বাস্থ্যসাথী সবার কাছে না পৌঁছলেও আরও একটি কার্ড দেওয়া হবে, তা দেখিয়ে চিকিৎসা পাবেন সবাই। পরে বায়োমেট্রিক করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হবে।
মা-মাটি-মানুষের জন্যই মমতার সরকার
স্বাস্থসাথী কার্ডে বরাদ্দ বৃদ্ধি মমতা আরও বলেন, স্বাস্থসাথী কার্ডে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে আরও ২০০ কোটি। এবার থেকে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল আর ফেরাবে না। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। মানুষের জন্য এই সরকার। মানুষের দরকারে, সমস্ত কিছু করতে প্রস্তুত। অপপ্রচারে কান না দিয়ে মা-মাটি-মানুষের জন্য তাঁর সরকার কী করেছে, তা বিচার করুক বাংলা।