স্টাফ রিপোর্টার, রায়গঞ্জ: ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে নতুন নিদান দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বললেন, রোজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বলবেন জয় বাংলা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফোনে হ্যালো না বলে বলবেন জয় বাংলা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে জয় বাংলা স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়েছিল। বর্তমানে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন। নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়ায় নেতাজি জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় বাংলা’ বলে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদমূলক বক্তব্য শেষ করেন। আর মমতার সেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকেই হাতিয়ার করে তাঁকে আক্রমণ করেন বিজেপি–র আইটি সেলের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি–র সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।
একটি টুইটে লেখেন, ‘‘পিসি’ স্লোগান তুলেছিলেন ‘জয় বাংলা’। তিনি কি জানেন এটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ছিল? শেখ মুজিবুর রহমান যে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের।’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। অমিত মালব্যর প্রশ্ন ছিল, ‘মমতা কার কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইছেন?’ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে একটি ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ গঠনের চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়েছেন এই স্লোগান সম্পূর্ণই ‘ইসলামিক বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান’!
এটা স্পষ্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচনী রাজনীতিতে ‘স্লোগান যুদ্ধই’ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তৃণমূলের দাবি ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানটিও বিজেপির মত ‘বহিরাগত’। পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতেই এদিন নতুন নিদান দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷
এদিন মালদহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে তোপ দেগে বলেছেন,‘ওরা ভাবছে বাংলাটাকে দখল করি। তাহলে তো দেশে আর আমাদের সঙ্গে লড়ার মতো কেউ নেই। তাই মমতার মেরুদন্ডটা ভেঙে দাও। তোমরা আমার মেরুদণ্ড ভাঙবে কি? বাংলায় জিতবো, জিতে ভারতবর্ষটাকেও দেখবো। ভারতবর্ষেও যাতে আস্তে আস্তে সংহতি ফিরে আসে’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.