স্টাফ রিপোর্টার, বনগাঁ: সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন মতুয়া সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে কী বার্তা দেন অমিত শাহ, তা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। তৃণমূলের দাবি, নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে মতুয়াদের হতাশ করবেন শাহ৷ ইতিমধ্যেই তা নিয়ে তোপ নিশানা করেছে তারা৷

প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির পূত্রবধু মমতাবালা ঠাকুরের মতে, ‘‘অমিত শাহ রাজনৈতিক সভা করতে আসছেন। উনি সিএএ নিয়ে কিছুই বলবেন না। কারণ উনি জানেন, এটা কখনই করতে পারবেন না।’’  রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘অমিত শাহ এনপিআর, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে কী বলেন আগে শুনি। মতুয়াদের দাবি মতো, নির্বাচনের আগে উনি কী করে এটা চালু করবেন জানি না। বিষয়টায় ধোঁয়াশা রয়েছে। অমিত শাহের এই সফর মতুয়ারা কতটা গ্রহণ করবেন তা-ও জানি না। শান্তিপ্রিয় মতুয়াদের হয়তো উনি ভুল বুঝিয়ে চলে যেতে পারেন।’’

ঠাকুরনগরে অমিত শাহর সমাবেশের অন্যতম লক্ষ্য ছিল নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের ক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা। লোকসভা নির্বাচনের সময়ে সংশোধিত নাগরিক আইন (সিএএ) কার্যকর হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। মতুয়ারাও সমর্থন করেছিলেন বিজেপি প্রার্থীদের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই আইন চালু না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মতুয়াদের মধ্যে। ক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ শান্তনুও।

এর আগে অমিত শাহের ঠাকুরনগরে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দুদিনের সফর বাতিল হয়ে যায় অমিত শাহের। দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দিল্লিতে থাকা জরুরি মনে করেন অমিত শাহ। ফলে তিনি বাংলা সফর বাতিল করে দেন। তবে ঠাকুরনগরে মঞ্চ খুলতে নিষেধ করেন অমিত শাহ৷

শান্তনুর বার্তা, ‘‘এর আগে কেউ সিএএ নিয়ে ভাবেননি। মতুয়ারা এই দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই জানিয়ে আসছে। আগামিকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সিএএ নিয়ে তাঁদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে দেবেন।’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।