নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরাই
ডিসেম্বরের শুরু থেকে সরকারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সব থেকে বেশি ভিড় হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য। জায়গায় জায়গায় গুটি কয়েক সরকারি কর্মীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন তৃণমূল কর্মীরা। বিষয়টি তাঁরাই কার্যত নিয়ন্ত্রণ করছেন। তবে তা নিয়েই নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল হচ্ছে না তা নয়। যেমনটি হয়েছে দুর্গাপুরে।
টোকেন দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল
সাধারণভাবে কোন স্কুল, পুরসভার অফিস কিংবা পঞ্চায়েত অফিস থেকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের টোকেন দেওয়া হচ্ছে। সেই মতোই কাজ চলছিল দুর্গাপুরের কাঁকসা গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বামুনারায়। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি পঞ্চায়েত অফিস নয়, কার্ডের টোকেন দিতে হবে তৃণমূলের অফিস থেকে। কিন্তু এই দাবি মেনে নিতে পারেননি দলেরই উপপ্রধান শম্পা পাল। বিরোধিতার জেরে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ভয় পেয়ে তিনি পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করেন। যার জেরে এই কাজে তৃণমূলের দখলদারি নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ
উপপ্রধান শম্পা পাল জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ছবি তোলার কাজ শুরু হয়েছে এলাকা। এর জন্য টোকেন দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস থেকে। যার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানই। কিছু টোকেন তিনি নিজের ঘর থেকেই দিচ্ছিলেন, তাঁদের, যাঁরা কিনা সময় মতো পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারছেন না। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বেশ কয়েকজন তাঁর কাছে গিয়ে দাবি জানান, টোকেন দিতে হবে তৃণমূলের অফিস থেকে। কিন্তু সরকারি কাজ সরকারি অফিস থেকে করতে হবে, এই নীতি কথা বলার পরেই তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গালাগালি দেওয়ার সঙ্গে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ওই উপপ্রধান। তৃণমূলের দাদারা রেহাই দেয়নি বামুনারার প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বিকাশ রায়কেও।
থানায় অভিযোগ দায়ের, নিরাপত্তার দাবি
এই ঘটনার জেরে ভোটের আগে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কেননা উপপ্রধান শম্পা পাল কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়েরের সঙ্গে নিরাপত্তাও চেয়েছেন পুলিশের কাছে। এব্যাপারে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জানিয়েছেন, পুলিশ পুলিশের মতো কাজ করবে। বিজেপি এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বলেছে, রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে যে অভিযোগ তারা করছেন, তা প্রমাণিত হয়েছে এই ঘটনায়। আর স্বাস্থ্যসাথী যে ভোটের কার্ড তাও প্রমাণিত হয়েছে এই ঘটনায়।