স্টাফ রিপোর্টার, মালদহ : বিয়ের ১৩ বছর পরেও সন্তান না হওয়ায় গৃহবধুকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার চন্ডিপুর এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম চুমকি মন্ডল (২৩)। তাঁর বাবার বাড়ি কাঠিহার জেলার আমেদাবাদ থানার লক্ষীতলা এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৩ বছর আগে চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। বিয়ের ১৩ বছর কেটে গেলেও কোনও সন্তান হচ্ছিল না তাঁদের। যার ফলে মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে গৃহবধূ উপর নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁকে প্রায়শই মারধর করা হত বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে ।
এদিকে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়ে অভিযুক্ত স্বামী রাজকুমার মন্ডল সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা স্ত্রী চুমকির গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথমে মানিকচক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সেখান থেকেই রাতেই মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতভর চিকিৎসা চলার পর বুধবার সকালে গৃহবধূর মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
মৃত গৃহবধূর মা কলাবতী চৌধুরী জানান, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের উপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত। মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য মেয়ের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করত। বিষয়টি জানতে পেরে জামাইয়ের সঙ্গে বহুবার তাঁরা আলোচনাও করেছে। তবুও কোনও লাভ হয়নি। বরং দিন যত গিয়েছে ততই মেয়ের উপর বাড়ছিল অত্যাচারের মাত্রা। এরপর বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মেয়ের সন্তান না হওয়ার জন্য তাকে বাজে কথা বলত। মেয়ের বদনাম করার চেষ্টা করত শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
বুধবার অভিযুক্ত জামাইয়ের প্রতিবেশীদের মারফত মেয়ের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন। এরপর মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন মেয়েকে দেখতে। হাসপাতালে এসে মেয়েকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।
এদিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এমনকি জামাই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় জামাই সহ শ্বশুরবাড়ি চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে । অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.