উত্তরাখণ্ডে প্রবল বিপর্যয়ের মধ্যে অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এদিকে ইসরোর তরফে রবিবারের সেই অভিশপ্ত মুহূর্তে উপগ্রহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তপোবনের প্রজেক্টে এই সাম্প্রতিক বিপর্যয়ে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তার খতিয়ান খানিকটা হলেও তুলে ধরেছে ইসরোর সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্র। প্রসঙ্গত আচমকা বাণে তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইসরোর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে , কীবাবে পর পর দুটি ব্রিজ সেদিনের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গিয়েছে। এছাড়াও উপগ্রহ চিত্র বলছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস গ্রাস করেছে এলাকার আরও দুটি বড় ইমারত।
ইসরোর ছবি দেখাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের রাইনি গ্রামে আরও দুটি ইমারত ভেঙে পড়েছে। কিছু রাস্তা জলোরতোড়ে ভেসে গিয়েছে বলে দেখাচ্ছে ইসরোর প্রকাশিত ছবি। আরও একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট ওই গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রসঙ্গই এই রাইনি গ্রাম থেকেই ঐতিহাসিক চিপকো আন্দোলন শুরু হয়। যা পরিবেশের বাঁচানোর নিরিখে একটি অনন্য আন্দোলন।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের চামোলির রাইনির বাসিন্দাদের অভিযোগ সেখানের এক স্থানীয় মন্দির ভাঙার জন্যই দেবরোষে পড়েছে দেবভূমি। ধৌলিগঙ্গা ও ঋশিগঙ্গার মাঝে ওই মন্দিরটি ছিল। আর সেখানের মন্দিরকেই ভেঙে ফেলা হয়েছে । সেখানে একটি পাওয়াল প্ল্যান্টের কাজের জন্য এই মন্দির ভাঙা হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় এই মন্দির অন্যত্র হবে। এমনই বার্তা গ্রামের মানুষকে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর বিধ্বংসী বাণ ও বেশকিছু জিনিসের সঙ্গে ধুয়ে গিয়েছে পাওয়ার প্ল্যান্টের অংশও। গ্রামবাসীরা দুষছেন মন্দির ভাঙার ঘটনাকে।