স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে এবার বিজেপির “রথযাত্রা” ক্রমেই বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে । এই রথযাত্রাকে বিজেপি ধর্ম অর্থাৎ সুশাসন প্রতিষ্ঠার রথযাত্রা বললেও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রথযাত্রাকে অধর্মের রথযাত্রা বলেই বর্ণনা করছেন। তাই এই রথযাত্রা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল সরাসরি এখন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির এই রথযাত্রাকে তৃণমূলনেত্রী কটাক্ষ করে বলছেন, “রথযাত্রায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা থাকেন। এই রথে বিজেপি নেতারা কেন থাকবন?”
বিজেপি বলছে এই রথযাত্রা রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য করা হয়েছে। এটা আসলে পরিবর্তন যাত্রা। আর মমতা বন্দোপাধ্যায় বলছেন, “এই রথযাত্রা করে বিজেপি জগন্নাথদেবের রথকে অপবিত্র করছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-র এই রথযাত্রার সঙ্গে ধর্ম-অধর্মকেও জুড়ে দিয়েছেন। রায়গঞ্জের সভা থেকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কৃষ্ণ অর্জুনের রথের সারথি হয়েছিলেন ধর্ম যুদ্ধের জন্য, আর রাবন সীতাকে হরণ করে রথে করেই নিয়ে গিয়েছিলেন। এই দুটো রথযাত্রা এক নয়।”
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাই বলুন বিজেপির এই রথযাত্রা সম্প্রতি শুরু করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আর এই রথ রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যাবে বলেই বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে। একটা পেল্লাই মাপের বাসকে রথ বানিয়ে সেই রথযাত্রা শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই বাসটি অত্যাধুনিক, বাতানুকূল এবং সমস্ত ব্যবস্থা সম্বলিত।
বিজেপি বলছে, “এই রথযাত্রা ধর্ম, ন্যায়ের পক্ষের পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবে রাজ্যে। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে শাসন পরিচালনা করছেন, সেটাকে সুশাসন বলে মানা যায় না। এখানে সব কাজেই সরকার ও শাসক দলকে টাকা না দিলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পান না। এই রাজ্যে কোনও উন্নয়ন নেই, কর্মসংস্থান নেই, তৃণমূল সরকার তোলাবাজের সরকার, চাল চোরের সরকার, ত্রাণ চোরের সরকার। তাই এই সরকারকে ২০২১- এর বিধানসভা নির্বাচনে গদিচ্যুত করতেই বিজেপির এই পরিবর্তন যাত্রা। যাকে রথযাত্রার মাধ্যমে শুরু করেছে বিজেপি।
তবে রাজ্য সরকারের তরফে বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দেওয়ার পরেও রায়গঞ্জের সভা থেকে বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-র এই রথযাত্রার রামায়ণ-মহাভারতের উদহারণ তুলে বিজেপিকে বিঁধেছেন।
তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, “আমরা জানি রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি থাকে। সেখানে গিয়ে আমরা জয় জগন্নাথ বলি। এখন নানান রকম যাত্রা কেউ কেউ করে বেড়াচ্ছেন আর বলছেন রথযাত্রা করছি। রথযাত্রায় বিজেপি নেতারা কেন থাকবেন? তারা কী জগন্নাথ , বলরাম, সুভদ্রার চাইতে বড়? এদের রথে বিরিয়ানি,খাওয়া-দাওয়া, গান-বাজনা সব রেডি আছে। রথকে ফাইভ ষ্টার হোটেল বানিয়ে নিয়েছে । জগন্নাথদেবের রথকে ওরা অপবিত্র করছে।”
এর পরই ীো
এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝাতে চান শ্রীকৃষ্ণের রথযাত্রা ছিল ধর্মযুদ্ধের জন্য আর রাবন যে রথে করে সীতাকে হরণ করেছিলেন সেই রথযাত্রা অধর্মের রথযাত্রা ছিল। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৌশলে বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির রথযাত্রা আসলে অধর্মের রথযাত্রা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.