শুভেন্দু-রাজীবদের ‘এন্ট্রি’তে বাদের দফায় বিজেপির যেসব নেতারা, লক্ষ্য যখন একুশে

একুশের নির্বাচনের আগে মমতার তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের নিয়েই এখন মেতে উঠেছে বিজেপি। বিজেপির এমনই ভাব শুভেন্দু-রাজীবরাই একুশের নির্বাচনে জিতিয়ে দেবে বিজেপিকে। কিন্তু এতদিন যাঁরা বিজেপির পতাকা বহন করলেন তাঁরা ব্রাত্যের তালিকায়।

বিজেপির কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন তৃণমূলত্যাগীরা

একুশের নির্বাচনে বিজেপির লড়াইয়ে বিজেপির কোনও সামনে নেই। তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে আনা নেতাদেরই মমতার বিরুদ্ধে খাঁড়া করতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। সেই হিসেবে শুভেন্দু-রাজীবরা সামনের সারিতে চলে এসেছেন রাহুল-সায়ন্তনদের সরিয়ে। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন তৃণমূলত্যাগী নেতারা।

বিজেপি চাইছে শুভেন্দু-রাজীবের জনপ্রিয় মুখকে

মুকুল রায়কে ব্যবহার করে ফায়দা লুটে নিয়েছে বিজেপি। এবার বিজেপি চাইছে শুভেন্দু-রাজীবের জনপ্রিয় মুখকে ব্যবহার করে মমতা-কাঁটা তুলতে। সেইমতো শুভেন্দু-রাজীবকে সামনে রেখে আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ থাকছেন রাজ্য সভাপতি হিসেবে। কিন্তু অনেক পিছিয়ে পড়েছেন রাহুল সিনহা বা সায়ন্তন বসুরা।

রাহুল সিনহা ‘স্টপ গ্যাপ’ বক্তা বিজেপির

রাহুল সিনহাকে এখন দেখা যাচ্ছে স্টপ গ্যাপ বক্তা হিসেবে। কেন্দ্রীয় কোনও বড় নেতা আসার আগে সময় কভার করছেন তিনি। অথচ এই রাহুল সিনহা ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তারপর কেন্দ্রীয় সম্পাদকও ছিলেন দীর্ঘদিন। মুকুল-ঘনিষ্ঠ নেতার কাছে তাঁকে পদ খোয়াতে হয় একুশের নির্বাচনের কিছুদিন আগে।

সায়ন্তন বসু পিছনের সারিতে চলে গিয়েছেন

তারপর সায়ন্তন বসুকে বিজেপিতে সামনের সারিতে দেখা যেত। শুভেন্দু অধিকারী-রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা আসার পর তিনি চলে গিয়েছেন অনেক পিছনে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু-রাজীবরাই জনসভা মাতাচ্ছেন। বিজেপির প্রচারের আলোয় উদ্ভাসিত তাঁরাই।

বিজেপির মুখপাত্রের ভূমিকায় শমীক ভট্টাচার্য

আর হালে শমীক ভট্টাচার্যকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। তাঁর বাগ্মিতা তাঁকে সামনের সারিতে টেনে এনেছে। বিশেষত সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছেন তিনি। কিন্তু তিনি তাঁর অসাধারণ বাগ্মিতায় জনসভা মাতাতে পারেন, তার নিদর্শনও রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সেভাবে তাঁকে ব্যবহার করছে না, যতটা ব্যবহার করছে শুভেন্দু-রাজীবদের।

প্রধান ভূমিকায় শুভেন্দু-রাজীব আর শোভন-বৈশাখী

আবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার কারণে বিভিন্ন জনসভায় দিলীপ ঘোষকে দেখা গেলেও প্রধান ভূমিকায় কিন্তু দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু-রাজীবদের। মুকুল রায়কেও জনসভায় সেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না, যেটা করা হয়েছিল ২০১৯-এর নির্বাচনে। যদিও মুকুল রায় এই ভূমিকায় কোনওদিনই পারদর্শী ছিলেন না। বরং শোভন-বৈশাখীকে বেশি ব্যবহার করছে বিজেপি।

শুভেন্দু-রাজীবদের উপরই ভরসা বিজেপির

শুভেন্দু-রাজীবদের ভরসাতেই এবার নির্বাচন জিততে চাইছে বিজেপি। মুকুল রায়ের পরিকল্পনা আর মুখ হিসেবে শুভেন্দু ও রাজীবই তুরুপের তাস হতে চলেছেন বিজেপির। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়া বিজেপির আদি কোনও নেতা নেই জনসভায়। একজন করে নেতাকে রেখে মূল ভূমিকায় রাখা হচ্ছে শুভেন্জু-রাজীবদেরই। তাঁরাই তুরুপের তাস।

মমতার 'রয়্যাল বেঙ্গল' মন্তব্যের জবাবে 'ম্যান ইটার' তোপ! বাংলা থেকে ভিন রাজ্য়ে ফিরেই বিজেপি নেতা সরব

More SUVENDU ADHIKARI News