ওয়াশিংটন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ‘সাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন সেনেটরের বড় অংশ। মঙ্গলবার তাঁরা ভোট দিয়ে তাঁদের বক্তব্যের কথা জানান। ট্রাম্পের ট্রায়াল সাংবিধানিক কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ৫৬-৪৪ মেজরিটি ভোটে পাশ হয় প্রস্তাব। গত মাসে ট্রাম্পের সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পর হাইজের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
মেরিল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমি রাসকিন এদিন একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেখান। ক্যাপিটন হিলে কীভাবে ট্রাম্পের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল, তার একটি নমুনা তিনি এদিন দেখান। ভিডিওয় দেখা যায় কীভাবে জনতা ট্রাম্পের কথা শুনে ক্যাপিটলের উপর হামলে পড়েছিল। ট্রাম্পই তাঁর বক্তৃতায় সমর্থকদের ক্যাপিটল জয় করতে ইন্ধন দিয়েছিলেন। ১৩ মিনিটের ওই ভিডিওয় দেখানো হয়েছিল ২ জানুয়ারি ট্রাম্পের একটি টুইটও দেখানো হয়। সেই টুইটে বলা হয়েছিল, এই ধরণের ঘটনাগুলি তখনই ঘটে যখন পবিত্র নির্বাচনে ধস নামে এবং সেটি আনুষ্ঠানিক নয় এমন ভাবে ও খুব খারাপভাবে ঘটনো হয়।
ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছিলেন তাঁর অ্যাটর্নি ডেভিড স্কোহেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সেকেন্ড ইমপিচমেন্ট ট্রায়াল খুব কম সময়ের মধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। তিনি এও বলেন ইমপিটমেন্ট ট্রায়াল অসাংবিধানিক। ট্রাম্প কোনওভাবেই বিক্ষোভকে ইন্ধন দেননি। ট্রাম্পের ডিফেন্স টিম এও বলে যে তাঁর বক্তৃতা ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। হাউজ ম্যানেজাররা ট্রাম্পের টিমকে তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য ১৬ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল। এটি ট্রাম্পের সেকেন্ড ইমপিচমেন্ট। ক্যাপিটলে বিক্ষোভে মদত দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই ইমপিচমেন্ট হয়। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ইমপিচমেন্ট নিয়ে শুনানি। সোমবার এ ব্যাপারে সেনেটের সদস্যরা সম্মতি দেয়।
সেনেটের সংখ্য়াগরিষ্ঠ দলের নেতা চার্লস শুমার বলেন, দুই হাউজের ম্যানেজার এবং ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। সেনেট ভোটের পর বিতর্কসভা অনুষ্ঠিত ববে। সেই ভোটেই ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট সাংবিধানিক বলে ভোট পড়ে। আগামী সপ্তাহের মধ্য়ে গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.