স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে মোদী সরকার ক্ষমতায় এলে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু হবে। খড়গপুরের চা-চক্র থেকে বুধবার এই মন্তব্য করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। জে পি নাড্ডার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মতে বিজেপির আসল রূপ এবার বেরিয়ে পড়েছে। এভাবেই বিজেপি রাজ্যের মানুষদের ভোটের আগে ধাপ্পা দিচ্ছে।
বুধবার খড়গপুরে জে পি নাড্ডা বলেন, “বাংলায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় এলে রাজ্যে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু হবে।” তার আগে চা- চক্রে নাড্ডা স্থানীয় মানুষদের কাছে খোঁজ নেন তাঁরা আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। এই প্রসঙ্গে জে পি নাড্ডার সমালোচনা করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শোভনদেববাবু বলেন, “আমরা বারবারই বলছিলাম, কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প রাজ্যের মানুষের জন্য সুবিধাজনক নয়। কেননা এই প্রকল্পের ৪০% টাকা কেন্দ্র দেবে আর ৬০% টাকা রাজ্য দেবে। তাই এটা কী ভাবে কেন্দ্রের প্রকল্প হয়? রাজ্য যদি টাকা দেবেই তাহলে রাজ্যেরই তো স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আছে। সেখানে তো ৫ লক্ষ টাকার চিকিসৎসার সুবিধা দেওয়া হয়। আসলে এবার বিজেপির আসল ভাবনা বেরিয়ে পড়েছে। এভাবে ভোটের আগে রাজ্যের মানুষদের ঢোকা দিচ্ছে বিজেপি । রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য জে পি নাড্ডা যা বলছেন সেটা আসলে রাজ্যের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী।”
তবে বিজেপির অভিযোগ, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত , কিষাণ নিধি সহ নানান প্রকল্প কার্যকর হতে দিচ্ছে না। তবে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদহারণ টেনে বিজেপির সমালোচনা করে শোভনদেববাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছেন। তাই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পে রাজ্যের মানুষের কি হবে? আর কেন্দ্রের এই প্রকল্পের পুরো টাকাও তো কেন্দ্র দিচ্ছে না। কেন্দ্র ৪০% টাকা দিচ্ছে। আর এখন বলছে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে রাজ্যের মানুষদের আয়ুষ্মান প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এসব আসলে বিজেপির নির্বাচনী ধাপ্পা।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।