mamataস্টাফ রিপোর্টার: মালদা থেকে শূন্য হাতে ফিরতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো । মালদহ বরাবরই তাঁকে হতাশ করেছে। রাজ্য রাজনীতিতে প্রয়াত প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গণিখান চৌধুরীর গড় হিসেবে পরিচিত। অথচ এই জেলায় এখনও তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস । তবে এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শূন্যহাতেই মালদা থেকে ফিরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৌসম বেনজির নূরকে তৃণমূলে নিয়ে গনিখান চৌধুরীকে অসম্মান করেছেন। গনিখান চৌধুরী চেয়েছিলেন কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে, মমতা সেটা ভেঙেছেন। তাই মালদার মানুষ মমতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবারও করবে। তবে মালদার মানুষের কাছে আবেদন তারা যেন বিজেপিকে না ভোট দেয়।”
২০১১ বিধানসভায় মালদহে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল একটি আসন পেয়েছিল। তবে ২০১৬-র বিধানসভায় কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিধানসভায় লড়তে গিয়ে মালদায় শূন্য তাহের মমতাকে ফিরতে হয়েছে। এদিকে সদ্য শেষ হওয়া ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও দুটো আসনের দুটিই গিয়েছে বিরোধী শিবিরে। তাই স্বাভাবিকভাবেই হতাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মালদহের জনসভায় তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল আক্ষেপের সুর। তৃণমূলনেত্রী বললেন, “মালদহে কি আমরা কিছুই পাব না? ৩০ বছর ধরে মালদহে আসছি। ভোটের আগে সব সমীকরণ পালটে যায়। দুঃখ হয়, মালদহ আমাকে শূন্য হাতে ফেরালে।”
এর পাশাপাশি বিজেপির প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, “মমতাকে হারানোর ক্ষমতা তোমাদের নেই। কারণ মমতা একা নয়, মমতার সঙ্গে মানুষ আছে।” সুকৌশলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় এনআরসি আতঙ্কও উসকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় ওঁরা বারবার কেন আসছে জানেন? কারণ, ওঁরা দিল্লি থেকে বাংলাকে শাসন করতে চায়। দিল্লি থেকে বসে দাঙ্গা বাঁধাবে। এনপিআর আর এনআরসি করবে। তাই বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না। ২০২১-এ তৃণমূল আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ফিরে আসবে। বাংলায় জিতব, এরপর ভারতবর্ষটাকেও দেখব।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কিছুটা বিমর্ষ হয়ে বলেন , “২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মালদহের একটা আসনে বিজেপি (BJP) জিতেছে, একটা আসনে কংগ্রেস জিতেছে। এমনকী মৌসম বেনজির নূরকে (Mausam Noor) পর্যন্ত হারিয়ে দিয়েছে। ওঁর বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার করেছে। তাই আমরা ওঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করে দিয়েছি। মালদহে আমার সিট নেই বলে আমি ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেন, আমি ভাঙবো, তবু মচকাবো না। ঠিক এই সুরেই মালদার সভা মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ”এবারে কিন্তু শূন্য হাতে ফিরব না। আপনাদের আশীর্বাদ, দোয়া সঙ্গে নিয়েই যাব।”
গত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিকে তাকালে দেখা যায় কংগ্রেস-তৃণমূলের ভোট ভাগাভাগির ফলে মালদহের একটি আসন জিতে নেয় বিজেপি। আগামী ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও যে এই ভোট কাটাকাটিই বড় ফ্যাক্টর হতে পারে এবং সেটাই যে তৃণমূলের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সেটা বুহ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আগাম সতর্কবাণী। আর সেজন্যই ভোটারদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তা, “কংগ্রেস-সিপিএমকে (CPM) ভোট দেবেন না, অনেক হয়েছে। ভোট ভাগাভাগিতে যাবেন না। সিপিএমকে দেবেন না, অনেক দিয়েছেন।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম-কংগ্রেসকে বিজেপি-র দোসর বলে অভিযোগ করে বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। মনে রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেস মরে যাবে কিন্তু বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.