বিজেপি নেতা বা বিজেপি পন্থী ব্যক্তিত্বদের টুইটার অ্যাকাউন্টে ক্রমাগত একটি পোস্ট দেখা যাচ্ছে, তা হল তিনিও যোগ দিচ্ছেন 'কু' অ্যাপে। এদিন সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছিল 'কু' অ্যাপ প্রসঙ্গ। স্বদেশী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ইতিমধ্যেই টুইটারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে শুরু করেছে বিজেপি।
এদিকে, টুইটারকে ২৫৭ টি হ্যান্ডেল ডিলিট করতে বলেছে। যে সমস্ত বিষয় নিয়ে টুইটারের সঙ্গে সরকারের সমস্যা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ফের একবার সরকারপক্ষ টুইটারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায়। জানা গিয়েছে আগেই ২৫৭ টি টুইটার হ্যান্ডেল লালকেল্লা পর্বের পর টুইটারকে ডিলিট করতে বলেছে সরকার। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন মন্ত্রক টুইটারকে নিরপেক্ষভাবে চলতে বলেছে।
জানা গিয়েছে, সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার কেন্দ্র টুইটারকে ধাক্কা দিতে 'কু' অ্যাপ ঘিরে পদক্ষেপ নিতে চাইছে। ভারত সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবার এই কু অ্যাপে যোগ দিতে চলেছেন বলেও খবর। প্রসঙ্গত টুইটারকে নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত কেন্দ্র সরকার।
এদিকে, টুইটারের তরফে জানানো হয়এছে ২৬ জানুয়ারি থেকে টুইটারের গ্লোবাল টিম কার্যত সবসময়ই নজরদারি রেখে গিয়েছে। কোনও পক্ষপাতিত্ব না করে ব্যবস্থা নিয়েছে টুইটার। যেসব অ্যাকাউন্ট হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল বা কোনও কটূভাষার প্রয়োগ করছিল বা এমন হুমকি দিচ্ছিল যা থেকে হিংসা ছড়াতে পারে, তেমন ৫০০-র ওপর প্রোফাইল সাসপেন্ড করে দিয়েছে টুইটার। তবে টুইটারের এই বক্তব্যে যে চিঁড়ে ভেজেনি তা বলাই বাহুল্য।