স্টাফ রিপোর্টার, মহিষাদল : ৭২ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও খবর মেলেনি মহিষাদলের নিখোঁজ তিন যুবকের। দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবার পরিজনদের।
নিঁখোজ যুবকদের সন্ধান পেতে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী থেকে ব্লক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা সমানে যোগাযোগ করে চলেছেন উত্তরাখন্ডের প্রশাসনের সাথে। এদিকে যোশীমঠের হিমবাহ ধসে বাংলার যুবকদের নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই হতভাগ্য পরিবারগুলির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন প্রতিনিধিরা।
সংবাদ মাধ্যমে তাঁদের নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সোমবার বিকেলেই নিখোঁজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তমলুক লোকসভার সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।তিনি উত্তরাখন্ডের প্রশাসনের সঙ্গে কথাও বলেন।
সোমবারের পাশাপাশি মঙ্গলবার ও বুধবার ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন উত্তরাখন্ডের প্রশাসন মহিষাদলের নিখোঁজ পরিবারের সঙ্গে ।নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে শাসকদল তৃণমূল ও বিজেপির নেতৃত্বরা।
পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তিলক চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি আজগর আলি, হলদিয়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ মন্ডল সহ অন্যান্যরা শাসকদলের পাশাপাশি পরিবারের সাথে দেখা করেন বিজেপির নেতৃত্বরা।
মঙ্গলবার নিখোঁজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুন নায়েক, সহ সভাপতি তপন বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। এদিকে সময় যতই এগিয়ে হয়ে চলেছে ততই ভেঙ্গে পড়ছে তাঁদের পরিবারের লোকজন। অসহায় পরিবার গুলিকে শান্তনা দিয়ে চলেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে রবিবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের যুবক সুদীপ গুড়িয়া (২৭), লালু জানা (৩০), বুলু জানা (২৯)। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় কর্মরত ছিল তাঁরা । সুদীপের বাড়ি মহিষাদলের চক- দ্বারিবেড়িয়া গ্রামে এবং লালু ও বুলুর বাড়ি লক্ষ্যা গ্রামে। দুর্ঘটনার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ হয়নি তাঁদের। তাঁরা থাকতো উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তপোবন এলাকায়। নিখোঁজদের খোঁজে বর্তমানে উদ্বিগ্ন পরিবার পরিজনেরা।
গত বছরের মার্চ মাসে উত্তরাখণ্ডের ঋষি গঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজে যান মহিষাদলের চক- দ্বারিবেরিয়া গ্রামের সুদীপ গুড়িয়া। তাঁর সঙ্গে যায় ঠিকাদার লালু জানা ও তার ভাই বুলু জানা। সুদীপ বাড়ির লোকজনদের বলে যায় এক বছরের মধ্যে আবার সে বাড়ি আসবে। উত্তরাখণ্ডে কাজে যাওয়ার পর প্রায় নিয়মিত ফোনে কথা হতো চক- দ্বারিবেরিয়া গ্রামে থাকা বৃদ্ধ পিতা বৈদ্যনাথ গুড়িয়া ও বেহুলা গুড়িয়ার সঙ্গে। প্রায়ই বড় দাদা প্রদীপ গুড়িয়াকে ফোন করে ভাইপোর খোঁজ নিত সুদীপ।
রবিবার ছুটির দিন থাকলেও অতিরিক্ত পারিশ্রমিকের জন্য কাজে গিয়েছিল সুদীপ। তবে মেসে থেকে গিয়েছিলো সুদীপেরই এক সহকর্মী। তারই কথা মতো রবিবারের দুর্ঘটনার পর থেকে সুদীপের সাথে কোনওরকম যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তিনজনেরই পরিবারের তরফ থেকে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের মোবাইল বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে সুদীপ, লালু ও বুলু আগের মত সুস্থ অবস্থাতেই বাড়ি ফিরুক ভগবানের কাছে এখন এটাই প্রার্থনা করছেন তিনজনের পরিবার।
তবে সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে ততই নিরাশ হয়ে পড়েছে পরিবার। কান্নার রোল উঠতে শুরু করেছে পরিবার-পরিজনদের মধ্যে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.