আরবিআইয়ের তালিকা প্রকাশেই চাঞ্চল্য
ব্যাঙ্কগুলি প্রায় ৭৫% ঋণ খাতায়-কলমে মুছে ফেলে করছাড়ের প্রলোভন দেখালেও লাভ হয়নি কিছুই। ফলে তাঁদের প্রত্যেকের নামই এখন রয়েছে আরবিআইয়ের সিআরআইএলসি তালিকায়, প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে এমনটাই। তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) আওতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে এহেন তথ্য পেয়েছেন সমাজকর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী। জানা গেছে, ঋণখেলাপির পরিমাণ বিগত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৫.৩৪% বেড়েছে।
কয়েকশো কোটি টাকার ঋণখেলাপির পথে ধনকুবেররা
আরবিআইয়ের তথ্য বলছে, ঋণখেলাপির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মেহুল চোক্সির মালিকানাধীন গীতাঞ্জলি জেমস যার ঋণের পরিমাণ ৫,৬৯৩ কোটি টাকা। পাশাপাশি উইনসাম ডায়মন্ডের ঋণ ৩,৩৭৫ কোটি টাকা এবং বাসমতি চাল প্রস্তুতকারক আরইআই অ্যাগ্রোর ঋণের পরিমাণ ৪৪০৩ কোটি টাকা। তালিকায় রয়েছে ফরেভারপ্রেসিয়াস জুয়েলারি ও বিজয় মাল্যর কিংফিসার বিমানসংস্থার নামও।
তথ্যের অধিকার আইন বলেই সামনে আসছে একাধিক বড়সড় তথ্য
এদিকে বিশ্বনাথ গোস্বামীর আরটিআইয়ের জালেই সামনে এসেছে একঝাঁক অজানা তথ্য। সূত্রের খবর, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) প্রায় ৪,৬৪৪ কোটি টাকার এনপিএ রয়েছে গীতাঞ্জলি জেমসের কাছে। পাশাপাশি পিএনবির ১,৪৪৭ কোটি টাকা রয়েছে গিলি ইন্ডিয়া ও ১,১০৯ কোটি টাকা নক্ষত্র ব্র্যান্ডের কাছে! শেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে, ব্যাঙ্কগুলি ২০২০ সালের ৩১ মার্চে ৬১,৯৪৯ কোটি টাকার ঋণ মুছে ফেলেছে, পাশাপাশি ২০১৯ সালের মার্চে মুছে ফেলা হয়েছিল ৫৮,৩৭৫ কোটি টাকার ঋণ!
কাজ হল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই তথ্য প্রকাশে একপ্রকার বাধ্য হয় সুপ্রিম কোর্ট। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনাথের বক্তব্য, "তথ্য জানার অধিকার থাকা সত্ত্বেও যেভাবে তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, তা স্বাভাবিকভাবেই অস্বচ্ছতা এবং গলদকে তুলে ধরে। তাই এই ক্ষেত্রে অবিলম্বে আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,৮৭৫ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে। পাশাপাশি ইউকো ব্যাঙ্কেও এহেন ঋণখেলাপির পরিমাণ ছুঁয়েছে ১,৯৭০ কোটি টাকা!