মোদীর বিরুদ্ধে কথা বললেই তাঁরা দেশদ্রোহী হয়ে যান
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যাঁরা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁরাই দেশদ্রোহী হয়ে যাচ্ছেন। খেটে খাওয়া মানুষের পাশে বিশ্বের মানুষ থাকেন। তাই সারা বিশ্বের মানুষ কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করবেন, শুধু পাষাণ হৃদয় নরেন্দ্র মোদী ছাড়া। নীল বিদ্রোহ যেমন হয়েছিল। এই আন্দোলনও তেমনই দীর্ঘদিন হবে আর নরেন্দ্র মোদীকে লাল কার্ড দেখাবে।'
বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে কল্যাণের
এদিকে এর আগে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে পালটা তোপ দাগলেন কল্যাণ। দুই তৃণমূল নেতার এই অন্তর্কলহে তাল ঠুকছে বিজেপি।
হুগলি জেলায় তৃণমূলকে শেষ করছেন কল্যাণ
আচ্ছেলালের অভিযোগ ছিল, 'কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিয়ে হুগলি জেলায় তৃণমূলকে শেষ করছেন। তিনি তৃণমূল সরকারকে বদনাম করছেন, নির্বাচিত সাংসদের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করছেন। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীদের বদনাম করে সরিয়ে রাখতে চাইছেন যাতে বিজেপির সুবিধা হতে পারে। এই নাটকটা করার উদ্দেশ্য হল, তাঁর ও প্রবীর ঘোষালের মধ্যে আঁতাত রয়েছে। তিনি চাইছেন, কর্মীদের উত্তেজিত করে তাড়িয়ে দিতে যাতে তাঁরা প্রবীর ঘোষালের হয়ে কাজ করেন। দলের নেতাদের মধ্যে লড়িয়ে দিয়ে দলটাকে শেষ করতে চাইছেন সাংসদ।'
যাঁরা তৃণমূল করেন, আমি তাঁদের সঙ্গে আছি
এর পালটা জবাব দিয়ে কল্যাণ বলেছেন, 'যাঁরা তৃণমূল করেন, আমি তাঁদের সঙ্গে আছি। এমপি নির্বাচনে কানাইপুরে বিজেপি জিতেছিল। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, কে বিজেপির সঙ্গে আছে। আর দলের প্রার্থীকে জেতাতে আমাকে জানতে হবে কোথায় কী অবস্থা। কর্মিসভায় সেগুলোই পয়েন্ট আউট করতে চেয়েছি। প্রবীর ঘোষাল চলে যাওয়ায় আচ্ছেলালের দুঃখ হয়েছে। ভবিষ্যৎ বলে দেবে, ওঁর মত একটা দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন লোক থাকার জন্য কী ক্ষতি হয়েছে। একটা আচ্ছেলাল না-থাকলে কিছু এসে যায় না।'