প্রেমিক-প্রেমিকাদের বহু প্রতীক্ষিত প্রেম সপ্তাহ আরম্ভ হয়ে গিয়েছে। যদিও অধিকাংশই মনে করেন যে বছরের ১টা দিনেই প্রেম দেখাবো আর বাকি ৩৬৪ দিন কি দাম্পত্য সম্পর্ক লোপ পাবে? না, একেবারেই সেটা অভিপ্রেত নয়। কিন্তু কিছু কিছু দিনে সঙ্গীকে স্পেশাল ফিল করালে ক্ষতি কী?
এবার আসা যাক আজকের স্পেশাল দিনে। আজ “চকোলেট দিবস”। চকোলেটপ্রেমীদের কাছে কিন্তু এটা সোনায় সোহাগা। এমনিতে অত্যাধিক পরিমাণে চকোলেট খাওয়া নিয়ে তারা ওজন বাড়া-কমার ক্ষেত্রে খোঁটা পেলেও আজকের দিনে বাঁধভাঙা আনন্দ তাদের। প্রেম নিবেদনের ক্ষেত্রে চকোলেটের আমূল রূপান্তর ও বিবর্তন যেমন হয়েছে, তেমনই সেই প্রেক্ষাপটে পাল্টেছে প্রেম নিবেদনের স্টাইলও। কিন্তু জানেন কি আসলে কোথা থেকে এবং কবে আবিষ্কৃত হয় এই চকোলেট?
“চকোলেট” এর স্বাদ প্রথম এনেছিল লাতিন আমেরিকার একটি সভ্যতা। সভ্যতাটির নাম “মায়া”। চকোলেটের এরূপ নামকরণের ক্ষেত্রেও তাদের অবদান অনস্বীকার্য। কারণ তাদের ভাষার “স্কোকোলেট” থেকে এই শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ অম্ল স্বাদের পানীয়। কোকো গাছের বীজ থেকে তৈরি হওয়া এই চকোলেট প্রথম দিকে মূলত পানীয় হিসাবেই ব্যবহার করতো বাসিন্দারা। অন্যদিকে, কেউ কেউ সেটিকে আবার রান্নার মশলা হিসাবেও ব্যবহার করতেন। তখন এটি একটি বিশেষ উপাদেয় পানীয় ছিল যা বিলাসবহুল বিনোদনের প্রতীক হিসেবে কেবল মায়া রাজ পরিবারের সদস্য, প্রশাসক, ধর্মগুরু, সেনা এবং বণিক সম্প্রদায়ই আস্বাদন করতে পারত। অবশ্য এই চকোলেট বানানোর কৌশল রপ্ত করে প্রাণও গিয়েছিলো অনেক। লাতিন আমেরিকায় ঔপনিবেশিক শাসন চলাকালীন চকোলেটের মাধ্যমে জাদুবিদ্যা চর্চার অভিযোগ এনে অনেক নারীকে ইনকুইজেশনে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ সেইসময়ে নারীরাই চকোলেট উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখতো।
কালক্রমে সেই চকোলেট আজ ভারতের বাজার কাঁপাচ্ছে। শুধু তাই না নানা মোড়কে, নানা স্বাদ ও আকারের চকোলেট বেশ লোভনীয়ও হয়ে উঠেছে। যে কোনো অনুষ্ঠান বা পার্টিতে চকোলেটের স্বাদ মিশিয়ে নানা পানীয়ও তৈরী করা হচ্ছে। তবে আজকের দিনটিকে স্পেশাল করতে কিন্তু চকোলেটের উষ্ণ স্বাদ আস্বাদন করাতেই হবে আপনার সঙ্গীকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.