মাদ্রাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে অস্বস্তি বাড়ছে মমতার, পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চাপ সৃষ্টি বামেদের

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাসিক বেতন ও ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিল-সহ সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধার দাবিতে সল্টলেকে বিগত ২৮ দিন ধরেই চলছে সরকারি অনুমোদিত আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবস্থান-অনশন। এই আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সোমবার তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন অবস্থান-মঞ্চে। সেলিমের দাবি, 'রাজ্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব এঁদের বেতনের দাবি মিটিয়ে দিক।'

১২ জানুয়ারি থেকে সল্টলেকে সিটি সেন্টারের কাছে অবস্থান

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি থেকে সল্টলেকে সিটি সেন্টারের কাছে অবস্থান করছেন সরকারি অনুমোদিত আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ১৬ জানুয়ারি থেকে নির্জলা অনশনও শুরু করেছেন তাঁরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে চলা অবস্থানের প্রায় একমাস হতে চলল।

মাসিক বেতনের ব্যবস্থার দাবি

আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্য সরকার স্বীকৃত ২৩৫টি আন-এডেড মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। মাদ্রাসার সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর মিড-ডে মিল, পোষাক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে এবং গ্র‍্যান্ট দিতে হবে।

বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন

দীর্ঘদিন ধরে চলছে আন্দোলন। অনশন শুরুর পর থেকে প্রায়ই কোনও না কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দাবি আদায় না হলে তাঁরা যে মৃত্যবরণ করতেও পিছপা হবেন না তা জানান দিতে মৃত্যু পরবর্তী পোশাক গায়ে তুলে নিয়ে ১৬ দিন ধরে 'কাফন আন্দোলন'ও করছেন তাঁরা। কিন্তু, ভ্রুক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের।

সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলি পূরণ করেনি

ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যসোসিয়েশনের বক্তব্য, দীর্ঘ নয় বছর ধরে মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন থেকে বঞ্চিত করে রাখা ও আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিল পোষাক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার জন্য আমরা একাধিকবার সরকারের কাছে দাবিদাওয়া রেখেছি। কিন্তু সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলি পূরণ করেনি।

রাজ্যসভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে ভারাক্রান্ত মোদী, কেন হঠাৎ কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী?

More CPIM News