মোদীর প্রতিক্রিয়া
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের পরে মোদী বলেছেন, বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁরা আঞ্চলিক সমস্যা এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তাঁরা সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, দুজনেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর বাইরে শান্তি ও সুরক্ষার জন্য কৌশলগত অংশীদারিত্ব অকীকরণের অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিবৃতি
মোদী ও বাইডেনের ফোনে কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কার্যকালের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভারত-আমেরিকার অংশীদারিত্বকে আরও উন্নত করতে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় ছিলেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শীর্ষ নেতারা দীর্ঘ আলোচনায় আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বাইডেন নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইন এবং মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিত করতে সমমনা দেশগুলিকে নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করতে তাঁদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এই এপ্রিলে শীর্ষ বৈঠক করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। সুবিধা মতো প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেন যাতে ভারত সফর করেন, সেই ব্যাপারেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি
অন্যদিকে মোদী-বাইডেনের কথার পর হোয়াইট হাউজের তরফেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুদেশই করোনা বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে এবং বিশ্বের অর্থনীতি পুনর্গঠনের ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এছাড়াও দুদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মুক্তভাবে কাজ করতে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।
আগেও কথা বলেছিলেন মোদী
নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারানোর পরেও জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মোদী। সেই সময়ও তাঁদের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি, জয়বায়ু পরিবর্তন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা নিয়ে কথা হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি।