দেরাদুন: রবিবার থেকে বলা হচ্ছিল নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশ ধসে পড়ার জেরেই ঋষিগঙ্গায় বান আসে। তবে আন্তর্জাতিক ভূতাত্ত্বিক এবং হিমবাহ বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, হিমবাহ না বরং ভূমিধসের জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেখে নেওয়া যাক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিগারির ভূতাত্ত্বিক এবং হিমবাহ বিশেষজ্ঞ ড. ড্যান সুগার প্ল্যানেট ল্যাবের স্যাটেলাইট ইমেজ পরীক্ষা করে দাবি করেছেন উত্তরাখণ্ডের দুর্ঘটনা হিমবাহ ধসের জেরে ঘটেনি। বরং ত্রিশুল পর্বতে ভূমিধসের জেরে হিমবাহের ওপর চাপ পড়ে।
প্ল্যানেট ল্যাবের চিত্র বলছে, দুর্ঘটনার সময় ত্রিশুল পর্বতে ধূলাবালির কুন্ডলী ওঠে। ঘটনার আগে এবং পরের ছবি দেখলে পুরো ব্যাপারটা স্পষ্ট বোঝা যায়। দেখা যায় পর্বত থেকে ধূলোর ঝড় নীচের দিকে বয়ে আসছে।
ড্যান সুগার টুইট করে জানিয়েছেন, হিমবাহের উপরে একটি W এর আকারে একটি ভূমিধস হয়। যার জেরে উপরের ঝুলন্ত হিমবাহ দ্রুত নীচের দিকে নেমে আসে। যদিও আগের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, নন্দাদেবী হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্যাটেলাইটের ফটোগ্রাফগুলির ভিত্তিতে সুগার দাবি করেছেন যে দুর্ঘটনার ঠিক আগে ত্রিশুল পর্বতের উপরে L আকারে ধুলো এবং আর্দ্রতা দেখা গেছে। অন্যদিকে স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে কোনও হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার প্রমাণ মেলেনি।
উল্লেখ্য, প্রকৃতির তান্ডবলীলায় ভয়াবহ হিমবাহ বিস্ফোরণের ফলে ভেসে গেছে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলা।রবিবার দুপুরে হিমবাহ ভেঙে আচমকা তুষারধসের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এই ধসের ফলে ঋষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। চামোলি জেলার তপোবনেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.