'আমি ৬ বছর রাজনীতিতে, মমতা ৩ দশক'
সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হয় টুইটারে মমতা ও তাঁর ফলোয়ার সম্পর্কে। প্রশ্ন ওঠে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জনপ্রিয়তা নিয়েও। দিলীপ ঘোষ সাক্ষাৎকারে বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ৮০ টি বই কতজন পড়েছেন, তার উত্তর আমি পাইনি। ফলে কে শিক্ষিত আর কে অশিক্ষিত সেই বিতর্ক বন্ধ হওয়া দরকার। আমি মাত্র ৬ বছর রাজনীততে । আর উনি ৩ দশক রয়েছেন রাজনীতিতে। তাহলে আমাকে এত ভয় কেন ?'
বাংলায় মাছ-মাফিয়া প্রসঙ্গ
দিলীপ ঘোষ বলেন, ভারতের সবচেয়ে বেশি মৎসপ্রেমী গোষ্ঠী বাঙালিদের রাজ্যে মাছ আমদানি করতে হয়। মাছ, মাংস , ডিম বাংলায় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এই বিষয়টিকে তিনি দুঃখজনক বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন,' বাংলায় সমস্ত জায়গায় মাফিয়া আছে, মাছ, কয়লা, রিয়েল এস্টেট। বাংলাই এমন একটা জায়গা যেখানে সরকার স্বীকার করে নেয় যে মানুষ ঘুষ দিয়ে চাকরি পাচ্ছে। প্রতিটি কাজের জন্য এখানে দালাল বা কাটমানির কথা শোনা যায়।'
মুখ্যমন্ত্রিত্ব ও কানাঘুষো
সর্বভারতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন তুলে ধরেছে যে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিজেপির হাইকমান্ড ৬ জনের নাম বাছাই করে রেখেছে। সেখান থেকে ৫ জনকে ছেঁটে ফেলে ১ জনকে স্থির করা হবে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। এমন এক জায়গা থেকে দিলীপ ঘোষের নামও শোনা যাচ্ছে। যদিও তা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বা বিজেপি কেউই মুখ খুলতে চায়নি।
মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে দিলীপ ঘোষ
'আমি গোটা বিষয়টি পার্টির ওপর ছেড়ে দিয়েছি। পার্টি আমার শক্তি। ' তিনি জানান, নির্বাচনের পর তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করে আছে , তিনি দেখতে চান। মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপ ঘোষ এমনই মন্তব্য করছেন ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে।
দিলীপ ঘোষ কি জ্যোতিষে আস্থা রাখেন?
মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপ ঘোষ বলেন, ' আমি জ্যোতিষদের কাছে যাই না আমার ভবিষ্যৎ জানতে। আমি দেখব নির্বাচনের পের আমার জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। ' ফলে গেরুয়া তিলক কাটা বঙ্গ বিজেপির প্রধান কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন নিজের অবস্থান।