স্টাফ রিপোর্টার: “গুজরাট বাংলাকে শাসন করবে না। বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি আছে। বাংলায় বাংলাকে শাসন করবে। যারা দূর্গা পূজা করে না, কালী পূজা করে না, লক্ষ্মী পূজা করে না তারা বাংলার, বাঙালির কী বোঝে?” এই ভাষায় মঙ্গলবার কালনার জনসভা থেকে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন বিজেপি হিন্দুত্বের কথা বললেও হিন্দু, বাঙালির সংস্কৃতি বোঝে না। মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরী করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাম আর শ্যাম, নেই কো কোনও দাম।” এই কথার মধ্য দিয়ে বাম-বিজেপিকে এক বন্ধনীতে জুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শান্তিতে বাড়ির বাইরে যেতে হলে, স্বস্তিতে থাকতে হলে তৃণমূলী আপনার বন্ধু।তৃণমূলে যদি কেউ অন্যায় করে তাহলে আমি তাঁদের কান মলে দেব। কিন্তু আপনারা তৃণমূলে ভরসা রাখুন ।”
কালনার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে রাজ্য থেকে বিদায় দেওয়ার স্লোগান তোলেন। তিনি সভায় সমবেত জনতার প্রতি বলেন, “বিজেপি থেকে সাবধান। বিদায় দাও, বিদায় দাও, বিজেপিকে বিদায় দাও। ফিরিয়ে দাও ফিরিয়ে দাও, আমার দেশ ফিরিয়ে দাও। বিজেপি ভারতকে শ্মশানে পরিণত করেছে, এবার বাংলাকেও শ্মশানে পরিণত করতে চাইছে। এটা হতে দেবেন না। ওরা ভন্ড তপস্বীর দল। শুধু কুৎসা করে। নিষ্ঠুর, নির্দয় একটা দল। মিষ্টি কথা ওরা বলতে পারে না। দূর্গা পূজা করে না, কালী পূজা করে না, লক্ষ্মী পূজা করে না। রবীন্দ্রনাথকে চেনে না, বিদ্যাসাগরকে চেনে না, তাঁর মূর্তি ভাঙে , ধর্মে ধর্মে, মানুষে মানুষে শুধু বিভেদ করে এই বিজেপি দল।”
বাংলায় বিজেপি হিন্দুত্বের তাস খেলছে, এটাই ছিল কালনার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল বার্তা। তিনি তাঁর কথায় বুঝিয়ে দেন, “বাংলায় সব ধর্মের , সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বাস করে। এই এই বাংলায় বিজেপির বহিরাগত নেতারা এসে ধর্মে ধর্মে, সম্প্রদায়ে, সম্প্রদায়ে বিভেদ করার চেষ্টা করছে। বাংলাকে গুজরাট বানাতে চাইছে। “
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেন,”বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকার চলছে। আমি যখন কোথাও পুজো দিতে যাই তখন আমার গোত্র জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি আমার গোত্র মানুষ। আর এরা শুধু হিংসার কথা বলে চলেছে।মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে। এই রাজ্যে মা-মাটি-মানুষের সরকার চলছে। বাংলার শাসন গুজরাট থেকে হচ্ছে না। বাংলার সংস্কৃতি, শিক্ষা, চিন্তা সব আছে। বাংলার শাসন বাংলাই করবে।তাই মা-বোনেদের বলছি, আপনাদের ওপর যদি কোনও আক্রমণ হয় তাহলে আপনারা যে হাত-খুন্তি দিয়ে রান্না করেন, সেটা দিয়ে জবাব দিয়ে দেবেন। মা-মাটি-মানুষের সরকার আপনাদের সরকার, আপনাদের পাশে আছে। বলুন ২০২১ দিচ্ছে ডাক, বিজেপি নিপাত যাক।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা থেকে বার্তা দেন, বিজেপি ধর্ম আর রাজনীতিকে এক করে দিতে চাইছে। এটা হতে তিনি দেবেন না। বাংলার সংস্কৃতি সবাই মিলে এক সঙ্গে থাকা, এটাই বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি। বাংলার এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য বাংলার মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আহ্বান জানান।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.