বৈঠকের পরই এসেছিল মুকুল রায়ের ফোন
নোয়াপাডার সুনীল সিং ও বনগাঁর বিশ্বজিৎ দাস সোমবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর থেকে বেরনোর পরই এসেছিল মুকুল রায়ের ফোন। তারপর তড়িঘড়ি হেস্টিংস অফিসে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা কৈলাশ-মুকুলের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরপর আবার সংবর্ধনাও দেওয়া হল তাঁদের।
মুকুলের টোটকার পর বিজেপির সুরেই সুর
মুকুল রায়ের টোটকার পর আবার বিজেপির সুরেই সুর মেলালেন দুই বেসুরো নেতা। এদিন রাজ্য সরকারের তরফে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল সুনীল ও বিশ্বজিৎকে। দুজনেই রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এবং সেইসঙ্গে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুই নেতা, তাঁরা বিজেপিতেই আছেন, ফলে তাঁদের নিরাপত্তা লাগবে না।
মুকুল-কৈলাশের পেপ-টকে ফের সঠিক পথে
সুনীল ও বিশ্বজিৎ উভয়েই বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন। তারপর মুকুল-কৈলাশের পেপ-টকে ফের সঠিক পথে ফিরেছেন বেসুরো বিধায়করা। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুলে রায়ের সঙ্গে তাঁদের কী কথা হয়েছে তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। বিধায়করা বলছেন, তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সেই সংবর্ধনার পর এদিন রাজ্যের নিরাপত্তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে প্রায় ২০ মিনিট
বিধানসভা অধিবেশনের শেষদিনে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন। সেইসময় ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের খবরে বিজেপি নড়চড়ে বসে। এরপর তৎপর হন মুকুল রায়। তিনি ফোন করে তলব করেন বিজেপির অফিসে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে বৈঠক নিয়ে দিলীপ ঘোষ
এদিক দুই বিধায়ক সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাসের মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে বৈঠকের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, ওঁরা দলকে জানিয়েই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এলাকা উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যান তাঁরা। বিজেপির দুই নেতা যা করেছেন, তা সৌজন্য দেখিয়েই। এর বেশি কিছু নয়।