সঞ্জয় কর্মকার, বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রী এলেন, মাটি উৎসবের সূচনা হলো। কিন্তু দর্শকাসন ‘ফাঁকা’ থাকার কারণে বিব্রত পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ নিয়ে শুরু হয়েছে পারস্পরিক চাপান উতোর।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যখন মাটি উৎসবের মঞ্চে আসেন তখন দর্শকস্থানের অনেকাংশই ছিল ফাঁকা। যা নিয়ে খোদ দলের নেতারাই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পুলিশের ওপর। তাঁরা জানিয়েছেন, জায়গায় জায়গায় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশ বাস আটকে দিয়েছে।
জেলা তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, মাটি উৎসব প্রাঙ্গণের প্রায় দেড় কিলোমিটার আগেই সমস্ত বাস, লরিকে আটকে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মাটি উৎসবে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে নেতাদের মধ্যে।
মঙ্গলবার বর্ধমানে ৭ম রাজ্য মাটি উৎসবের সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’বারবার দরকার মা মাটি মানুষের সরকার, বারবার দরকার তৃণমূলের সরকার’। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৃষকরাই যে তাঁর জেতার মূল কাঠি এদিন সমগ্র ভাষণ পর্বে তাও বারবার উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কালনার বৈদ্যপুর মাঠের জনসভা সেরে বর্ধমানের মাটি উৎসবে হেলিকপ্টারে আসেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। মঞ্চে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কৃষি মন্ত্রী আশীষ বন্দোপাধ্যায়, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। আর ছিলেন কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার সহ পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ২০১২ সালে তিনিই প্রথম এই মাটি উৎসবের সূচনা করেছিলেন। তার ৩ বছর পর ইউনাইটেড নেশন স্বীকৃতি দিয়েছে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন বলেন, কৃষকরা তাঁর কাছে সম্পদ। কেন্দ্র সরকার যে ৩টি কৃষি আইন এনেছে তাতে কৃষকরা সবথেকে বেশি বিপদে পড়বে। বিজেপির ক্যাপিটালিষ্টদের সুবিধা করে দিতেই এই কৃষি আইন নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু বাংলার কৃষকদের তিনি কোনো ক্ষতি হতে দেবেন না।
মঞ্চ থেকেই কৃষক বন্ধু সহায়তা প্রকল্পে মৃত কৃষকদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার সহায়তা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বেশ কয়েকজনের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড এবং পলিগ্রিন হাউসের সুবিধাও তুলে দেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.